—প্রতীকী চিত্র।
মাস খানেক আগে প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের অধীনে থাকা গো-সম্পদ বিকাশ সংস্থার সদস্য হিসাবে ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলইয়ের নাম ঘোষণা হয়েছিল। ঘাটাল উৎসব ও শিশু মেলার কমিটি গঠন নিয়ে ডামাডোলের মাঝেই ওই পদ পেয়েছিলেন শঙ্কর। তবে ফের এক নতুন এক নির্দেশিকায় শঙ্করকে সেই কমিটি থেকে সরিয়ে আনা হল দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভুঁইয়াকে।
তৃণমূলের অন্দরের খবর, মমতা ঘাটালের সাংসদের ঘনিষ্ঠ। এই রদবদলের নির্দেশিকার খবর চাউর হতেই তোলপাড় শুরু হয়েছে ঘাটালের তৃণমূলে। উল্লসিত সাংসদ অনুগামীরাও। নতুন পদ পেয়ে মমতা বলেন, “আমি এমনিতেই প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে রয়েছি। তার সঙ্গে গো বিকাশ কেন্দ্রের সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছে। ভাল লাগছে।” শঙ্করের তাৎপর্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া, “এটা মাথায় রাখতে হবে ঈশ্বর যা করেন সবার ভালর জন্য করেন।”
ঘাটালের সাংসদ দেবের সঙ্গে ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্করের লড়াই বহুল চর্চিত। গত লোকসভা ভোটে দু’জন কাছাকাছি এলেও সেই সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি। সম্প্রতি ঘাটাল উৎসব ও শিশু মেলার কমিটি গঠন নিয়ে নতুন করে তেতে ওঠে ঘাটালের রাজনীতি। মেলার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে ঘাটালের সাংসদ দেব এবং প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর অনুগামীদের মধ্যে জোর টক্কর শুরু হয়। ঝরেছিল রক্তও। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে দেবের হাত ধরেই চলছে ওই মেলার প্রস্তুতি। মেলা থেকে শঙ্করকে সরিয়ে দেব মেলার রাশ হাতে নিতেই চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন সাংসদের অনুগামীরা।
ওই মেলা কমিটিতে শঙ্কর ছাড়া শাসক দলের ব্লক ও শহর সভাপতি, পুরসভার চেয়ারম্যান-সহ ব্লকের সবস্তরের শীর্ষ নেতৃত্বরাই রয়েছেন। এর মধ্যেই গো সম্পদ বিকাশ সংস্থার সদস্য বদল। ঘাটালের রাজনীতিতে দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভুঁইয়া সাংসদ শিবিরের বলেই পরিচিত। তাই শঙ্করের জায়গায় তাঁর অন্তর্ভূতিতে রাজ্যের শাসক দলের গোষ্ঠী সমীকরণের ছায়াই দেখছেন অনেকে। বসে নেই শঙ্কর অনুগামীরাও। সমাজমাধ্যমে প্রচার-পাল্টা প্রচার চলছে। গোটা ঘাটালের রাশ কার হাতে থাকবে, সেই নিয়ে চরম প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে।