Rohingya Immigrants

বাড়ি ফিরতে চাই, চিঠিতে মনের কথা রোহিঙ্গা কিশোরীর

মেদিনীপুরের রাঙামাটিতে ‘বিদ্যাসাগর বালিকা ভবন’ রয়েছে। এই সরকারি হোমে বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া মেয়েদের শিশুকল্যাণ কমিটির নির্দেশে রাখা হয়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:১৯
মেদিনীপুর হোমের মেয়েদের চিঠি বাক্স থেকে বের করে পড়ছেন জেলাশাসক। বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের অফিসে।

মেদিনীপুর হোমের মেয়েদের চিঠি বাক্স থেকে বের করে পড়ছেন জেলাশাসক। বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের অফিসে। —নিজস্ব চিত্র।

চিঠির বাক্স রাখা রয়েছে মেয়েদের হোমে। নাম ‘মনের কথা’। ইতিমধ্যে চিঠি লিখে কয়েকজন আবাসিক তাদের মনের কথা জানিয়েছে সেখানে। হোম সূত্রে খবর, আবাসিক এক রোহিঙ্গা কিশোরীও চিঠি লিখেছে। পরিবারের কাছে ফিরতে চায় সে, চিঠি লিখে সে কথাই জানিয়েছে।

Advertisement

মেদিনীপুরের রাঙামাটিতে ‘বিদ্যাসাগর বালিকা ভবন’ রয়েছে। এই সরকারি হোমে বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া মেয়েদের শিশুকল্যাণ কমিটির নির্দেশে রাখা হয়। কোর্টের নির্দেশেও নাবালিকাদের এখানে রাখা হয়। শতাধিক আবাসিক রয়েছে এখানে। সেখানেই বসেছে এই চিঠির বাক্স। রোহিঙ্গা কিশোরীর চিঠির কথা স্বীকার করে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি বলেন, ‘‘মেয়েটি দীর্ঘদিন হোমে রয়েছে। আমি দু’-তিনবার ওই হোমে গিয়েছি। আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তখন ওর সঙ্গেও কথা হয়েছে। মেয়েটি পরিবারের কাছে ফিরতে চায়। এর আগে মহিলা কমিশন থেকে একটা দল এসেছিল হোমে। কমিশনও বিষয়টি দেখছে।’’ জেলাশাসক জুড়ছেন, ‘‘আইনি কিছু বাধা রয়েছে। এ নিয়ে কোর্টের নির্দেশ মানতে হবে। ওর সম্বন্ধে আমি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরকে সব জানিয়েছি।’’

ওই কিশোরীর আদি বাড়ি মায়ানমারে। সে রোহিঙ্গা। তার পরিবার এখন বাংলাদেশে রয়েছে। কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের একটি এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ। হোমেই তার বেড়ে ওঠা।

মেদিনীপুরের এই হোমে আগে হোমছুটের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন মহলের মতে, চার দেওয়ালের ‘বদ্ধ’ জীবন থেকে মুক্তির স্বাদ পেতেই হোমের আবাসিকদের কারও কারও মধ্যে পালানোর ঝোঁক আসে। ফলে, কেন হোমের একাংশ আবাসিক পালানোর চেষ্টা করে, সেটাও খুঁজে বার করার চেষ্টা থাকা দরকার। ইদানীং হোমের মেয়েদের স্বনির্ভর করতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। হোমে গঠন করা হয়েছে স্বনির্ভর দল— ‘বন্দেমাতরম’। বয়ঃসন্ধিকালের কিছু সমস্যা থাকেই। খোলামেলা পরিবেশ, খেলাধুলো, সাংস্কৃতিক চর্চার মতো মানসিক চাহিদা মেটানোর জায়গা দরকার হয়।

আরও পড়ুন
Advertisement