Jetty Renovation

জেটি সারেনি! ঝুঁকির যাতায়াত

খেজুরি-২ ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, রসুলপুর-বোগা রুটে ভেসেল চেপে নিয়মিত যাতায়াত করেন প্রায় ১,৭০০ জন সরকারি কর্মচারীর।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
খেজুরি শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২৪ ০৮:৩১
জেটি ঘাট ও ভেসেল ডুবে রয়েছে। খেজুরির রসুলপুর ঘাটে।

জেটি ঘাট ও ভেসেল ডুবে রয়েছে। খেজুরির রসুলপুর ঘাটে। নিজস্ব চিত্র।

তিন মাস পার হয়ে গিয়েছে। সারানো হয়নি পন্টুন জেটি। ফলে বন্ধ রয়েছে ভেসেল পরিষেবা। বাধ্য হয়ে ছোট নৌকা ঝুঁকি নিয়ে রসুলপুর নদী পার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। অনেকে আবার ঘুরপথও ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার পর আদর্শ নির্বাচন বিধি উঠে গেলেও জেলা পরিষদ এখনও জেটি সারাতে উদ্যোগী কেন হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, গত ১৭ মার্চ রসুলপুর-বোগা ফেরি চলাচল বন্ধ হয়। কারণ, কয়েক মাস ধরে সংস্কার না হওয়ায় বোগা ঘাটের পন্টুন জেটি ফুটো হয়ে গিয়েছে। সেই ফুটো দিয়ে হু হু করে জল ঢুকে জেটি ডুবে গিয়েছে। বন্ধ হয়ে যায় ভেসেল পরিষেবা। ফলে রসুলপুর নদী পার হতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নিত্য যাত্রীদের। সোমবার রসুলপুর নদী পার হতে গিয়ে বড় রকমের দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচেছেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। তাঁরা জানাচ্ছেন, ‘‘অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে এদিন ভটভুটি প্রায় উল্টে গিয়েছিল। নদীতে জোয়ারে দাপট সেরকম না থাকায় কোনও রকমে বেঁচেছি।’’ খেজুরি আদর্শ বিদ্যাপীঠের কয়েকজন শিক্ষক জানাচ্ছেন, ভুটভুটিতে মোটরবাইক নিয়ে ওঠানামা করা খুব ঝুঁকিপূর্ণ। একাংশ যাত্রী আবার, পেটুয়াঘাট হয়ে ভেসেলে বা বাসে চেপে হেঁড়িয়া হয়ে কাঁথি যাতায়াত করছেন।

খেজুরি-২ ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, রসুলপুর-বোগা রুটে ভেসেল চেপে নিয়মিত যাতায়াত করেন প্রায় ১,৭০০ জন সরকারি কর্মচারীর। এছাড়াও কয়েক হাজার মানুষ ফেরির উপর নির্ভরশীল। ব্লকের বহু মানুষ নিয়মিত সকালে ভেসেলে চেপে চিকিৎসা করাতে যান কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে। লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার আগে বোগায় নতুন করে পন্টুন জেটি নির্মাণ কাজের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই কাজের দরপত্র হয়ে গিয়েছে। যদিও কাজ শুরু হয়নি। এই পরিস্থিতিতে পুরনো জেটি সংস্কার করার দাবিতে জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে তৎকালীন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক তনবীর আফজল জানিয়েছিলেন, জেটি এবং ভেসেল সারানোর জন্য জেলা পরিষদের তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হবে। তার জন্য নির্বাচন কমিশনের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এখন অবশ্য নির্বাচনী বিধি নিষেধ উঠে গিয়েছে। কিন্তু কাজ শুরু হয়নি। এদিকে, গত বুধবার থেকে সমস্তস্কুল খুলে গিয়েছে। আজ, বুধবার জামাইষষ্ঠী। ফলে ওই রুটে যাতায়াত কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। জেটি সারানোর ব্যাপারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক বলছেন, ‘‘নির্বাচনী বিধির কারণে জেটি মেরামত সম্ভব হয়নি। অতি দ্রুত জেটি নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement