—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আর জি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদ-আন্দোলেনর আবহে এসেছে দুর্গাপুজো। সপ্তাহ দুয়েক পরেই মহালয়া। রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের আন্দোলনের জেরে এবার উৎসবের আমেজ কেমন হবে, সে নিয়ে পুজোর উদ্যোক্তারা সংশয়ে রয়েছেন। তবে গত বছরের মতো এবারও মহালয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার কয়েকটি পুজোর ‘ভার্চুয়ালি’ উদ্বোধন করবেন। সে জন্য ওই পুজো কমিটিগুলির প্রস্তুতি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করছেন পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকেরা। ইতিমধ্যে তাঁরা বিভিন্ন ব্লকে পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে বৈঠক করছেন।
গত বছর মহালয়া ছিল ১৪ অক্টোবর। তার দু’দিন আগেই সেবার মমতা ‘ভার্চুয়ালি’ তমলুকের আদি তাম্রলিপ্ত সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি এবং জেলার চারটি পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন। পরে ধাপে ধাপে আরও কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন। এ বছরেও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। তমলুক রাজময়দান হওয়া আদি তাম্রলিপ্ত সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির কর্মকর্তা তমলুকের পুরপ্রধান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করবেন বলে প্রশাসনের তরফে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে। আমরা মণ্ডপ সজ্জা ও প্রতিমা তৈরির কাজ জোর কদমে চালাচ্ছি। আগামী ২ অক্টোবর মহালয়ার আগেই মণ্ডপ ও প্রতিমার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।’’
গত বছর ময়নার বলাইপন্ডা বাজারের পশ্চিম ময়না সার্বজনীন দুর্গোৎসবের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই পুজো কমিটির কার্যকরী সভাপতি তথা স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সুব্রত মালাকার বলেন, ‘‘কয়েকদিন আগে ময়না থানার পুলিশ আমাদের মণ্ডপে এসেছিলেন। খোঁজখবর নিয়ে গিয়েছেন। তবে এবার মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন কি না, তা নিয়ে এখনও পুলিশ-প্রশাসনের তরফে জানানো হয়নি।’’ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে গিয়ে তাঁরা প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছেন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, পুলিশ-প্রশাসনের তরফে পরিদর্শনের পরে তাদের বাছাই করা পুজোগুলি মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হবে। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর দুর্গাপুজো উদ্বোধনের বিষয়ে সরকারিভাবে আমাদের এখনও জানানো হয়নি। তবে এবছরও তিনি পুজোর উদ্বোধন করবেন বলে আশা করছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এ নিয়ে আমাদের জানানো হতে পারে।’’