—প্রতীকী চিত্র।
দিন কয়েক আগে রাতের ট্রেনে কলকাতা থেকে কলেজ ছাত্রী মেয়েকে নিয়ে মেচেদা ফিরছিলেন মা। স্টেশনে নামার পর ওভারব্রিজ ধরে বেরিয়ে আসার সময় শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। এই অভিযোগে গত কয়েক দিনের আন্দোলনের পর হলদিয়া থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করল পাঁশকুড়া রেল পুলিশ (জিআরপি)।
জিআরপি সূত্রে খবর, গত ২৫ জুলাই রাত ১০টা নাগাদ কোলাঘাট থানা এলাকার বাসিন্দা ৪২ বছরের মহিলা তাঁর মেয়েকে নিয়ে হাওড়া-পাঁশকুড়া ট্রেনে করে মেচেদা স্টেশনে নামেন। অভিযোগ, স্টেশনের ওভারব্রিজ ধরে সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাওয়ার সময় পিছন দিক থেকে মেয়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন অভিযুক্ত যুবক। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হন মা-ও। তবে মায়ের প্রতিরোধের কারণেই অভিযুক্ত যুবক সেখান থেকে পালিয়ে যান। মহিলার দাবি, রাতে স্টেশন বা ফুটব্রিজের কোথাও রেল পুলিশের দেখা মেলেনি। এই ঘটনার পরেই জিআরপিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কলেজ ছাত্রীর মা।
জিআরপি সূত্রে খবর মিলেছে, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্তে নামে পুলিশ। গত দু’দিন ধরে মেচেদা স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ-সহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে অভিযুক্ত শেখ মুস্তফা (৩৮) নামে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত হলদিয়ার ভবানীপুর থানার ডিঘাসিপুরের বাসিন্দা। তাঁকে ইতিমধ্যেই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে বলে পাঁশকুড়া জিআরপি সূত্রে জানানো হয়েছে।
রাতে স্টেশনে মা-মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠার পরেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয় নাগরিক সুরক্ষা কমিটি। কমিটির মুখপাত্র নারায়ণচন্দ্র নায়ক বলেন, ‘‘ঘটনার প্রতিবাদে আমরা মেচেদা স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার, আরপিএফ-এর ওসি ও জিআরপি পাঁশকুড়ার ওসির কাছে স্মারকলিপি জমা দিই। সেই সঙ্গে আতঙ্কিত কলেজ ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে মা-মেয়ের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিই। ওই ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও এবং মহিলা সংগঠন এআইএমএসএস-এর পক্ষ থেকেও মেচেদা এলাকায় বিক্ষোভ-মিছিল ও পথসভা করে দোষী ব্যাক্তিকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।’’