Assembly By-Poll

উপনির্বাচনের মনোনয়ন শুরু আজ, সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী

১৮ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। ২৮ অক্টোবর মনোনয়নপত্র খতিয়ে দেখা হবে। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যেতে পারে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:৫৮
মহকুমাশাসকের অফিসের প্রবেশপথে ব্যারিকেড।

মহকুমাশাসকের অফিসের প্রবেশপথে ব্যারিকেড। নিজস্ব চিত্র।


Advertisement


আগামী ১৩ নভেম্বর মেদিনীপুর বিধানসভার উপনির্বাচন। আজ, শুক্রবার ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। শুক্রবার থেকেই শুরু হবে মনোনয়ন। এঅ উপনির্বাচনে সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। সব ঠিক থাকলে বুথপিছু হাফ সেকশন করে (চার জওয়ান) বাহিনী থাকতে পারে বলে কমিশনের এক সূত্রে জানা গিয়েছে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক খুরশিদ আলি কাদেরি মানছেন, ‘‘সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে‌।’’ তাঁর আশা, ‘‘সুষ্ঠুভাবেই ভোট হবে।’’ এই ভোটের রিটার্নিং অফিসার (আর ও) তথা মহকুমাশাসক (সদর) মধুমিতা মুখোপাধ্যায়েরও বক্তব্য, ‘‘ভোট নির্বিঘ্নে হবে।’’ আজ, শুক্রবার সর্বদল বৈঠক হওয়ার কথা। আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হচ্ছে। নজরদারিতে বিভিন্ন দলও গঠন করা হচ্ছে। যেমন ৪টি ফ্লাইং স্কোয়াড টিম গঠন করা হয়েছে। ৯টি স্ট্যাটিক সার্ভেল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। ৩টি জায়গায় নাকা থাকার কথা।

১৮ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। ২৮ অক্টোবর মনোনয়নপত্র খতিয়ে দেখা হবে। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যেতে পারে। ১৩ নভেম্বর ভোট। আর গণনা ২৩ নভেম্বর। ডিসিআরসি হচ্ছে মেদিনীপুর কলেজে। অর্থাৎ, এখান থেকেই ভোটের সামগ্রী নেবেন ভোটকর্মীরা। তারপর বুথে পৌঁছবেন। ভোটের গণনাও হবে মেদিনীপুর কলেজে। মেদিনীপুর বিধানসভায় বুথ রয়েছে ৩০৪টি। এর মধ্যে ১৫৮টি শহরে, ১৪৬টি গ্রামে। পুরুষ ভোটার রয়েছেন ১,৪৩,৫৪২জন, মহিলা ভোটার ১,৪৮,১০০জন, অনান্য ১।

মেদিনীপুরে উপনির্বাচনের জন্য ইভিএম যাচাই ইতিমধ্যে সারা হয়েছে। মেদিনীপুর বিধানসভায় বুথ ৩০৪টি। এর প্রায় দ্বিগুণ ইভিএমের প্রথম দফার পরীক্ষা সেরে রাখা হয়েছে। কমিশনের এক সূত্রে খবর, এই উপনির্বাচনের জন্য ৫৯৩টি সিইউ, ৬০৬টি বিইউ, ৫৯৪টি ভিভিপ্যাট প্রস্তুত রাখা রয়েছে। ৩০৪টি বুথের মধ্যে ২টি বুথ মহিলা পরিচালিত হওয়ার কথা। লক্ষ্য সুষ্ঠুভাবে বিধানসভার উপনির্বাচন পরিচালনা করা। সেই মতো প্রয়োজনীয় সবক’টি সেল গঠন করা হয়েছে। কোন সেলের কী কাজ, সে সব স্পষ্ট করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ভোটপর্ব নির্বিঘ্ন করতে নির্বাচন কমিশন যেমন যেমন নির্দেশ দেবে, সে সবই মেনে চলা হবে। সেই মতোই যাবতীয় পদক্ষেপ হবে।’’

উপনির্বাচনে ভোটের হার তুলনায় কম হয়। একাধিক মহলের মতে, ভোটারদের বুথমুখী করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে নির্বাচন কমিশনের কাছে। ভোটারদের বুথমুখী করতে সচেতনতা প্রচারে নামছে কমিশন। প্রচারে ভোটদানের গুরুত্বের কথা মনে করানো হবে। মহকুমাশাসক মানছেন, ‘‘ভোটদানের ব্যাপারে সচেতনতা প্রচার হবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement