Death at Digha

দিঘায় বেড়াতে গিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, আসানসোলের নববধূ নিজেকে শেষ করে দিলেন হোটেলের ঘরে

পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতার নাম প্রীতি কর। ১৯ বছরের প্রীতি পশ্চিম বর্ধমানের হিরাপুর এলাকার বাসিন্দা। প্রীতম ঠাকুর নামে এক যুবকের সঙ্গে দিঘা বেড়াতে এসেছিলেন। মাস ছয়েক আগে তাঁদের বিয়ে হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:১০
death in digha

মৃতার নাম প্রীতি কর। মাত্র ছ’মাস আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল বলে খবর। —নিজস্ব চিত্র।

বিয়ে হয়েছিল কয়েক মাস আগে। দু’দিন আগেই স্বামীর সঙ্গে দিঘায় বেড়াতে এসেছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের এক বধূ। বর্ষবরণের রাতে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল হোটেলঘর থেকে। স্বামীর দাবি, তাঁর সঙ্গে ঝগড়া করে আত্মঘাতী হয়েছেন স্ত্রী। বুধবার এ নিয়ে শোরগোল নিউ দিঘার হোটেলে। মৃতার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতার নাম প্রীতি কর। ১৯ বছরের প্রীতি পশ্চিম বর্ধমানের হিরাপুর এলাকার বাসিন্দা। প্রীতম ঠাকুর নামে এক যুবকের সঙ্গে তিনি দিঘা বেড়াতে এসেছিলেন। প্রীতি এবং প্রীতম স্বামী-স্ত্রী বলে জানা যাচ্ছে। প্রীতম পুলিশকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়েছিল। তিনি রেগেমেগে হোটেল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। পরে হোটেলে ফিরে স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করেন।

ওই হোটেল সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত আড়াইটে নাগাদ যে ঘরটিতে প্রীতম এবং প্রীতি ছিলেন, সেখান থেকে চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ পান তাঁরা। কান্নাকাটির শব্দ পেয়ে হোটেলকর্মীরা ওই ঘরে গিয়ে দেখেন, প্রীতি নামে যুবতীটি অচৈতন্য অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছেন। প্রীতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পর পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, মহিলার গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। মৃতার স্বামী দাবি করেছেন, পারিবারিক কিছু বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল তাঁর।

জানা যাচ্ছে, মাস ছয়েক আগে ওই যুগলের বিয়ে হয়। দিন দুয়েক আগে তাঁরা দিঘায় বেড়াতে আসার পরেও সব কিছু স্বাভাবিক ছিল। অন্তত তাঁরা অস্বাভাবিক কিছু প্রত্যক্ষ করেননি বলে জানিয়েছেন হোটেলের কর্মীরা। মঙ্গলবার রাতে এমন কী হল, যার জেরে যুবতী আত্মহত্যা করলেন? স্বামী জানিয়েছেন, হোটেলের ঘরে ঢুকে স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তিনি তড়িঘড়ি উদ্ধারের চেষ্টা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। বুধবার মৃতার স্বামীকে দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, আসানসোলের হিরাপুর এলাকায় প্রীতমের একটি সেলুন রয়েছে। প্রীতির বাপের বাড়িতে তাঁর মৃত্যুসংবাদ পাঠিয়েছে দিঘা থানার পুলিশ।

Advertisement
আরও পড়ুন