Suicide

একরত্তি ছেলে কোলে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ

পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতার নাম মমতা গিরি (২৬)। তাঁর বাড়ি খেজুরি-১ ব্লকের জরারনগরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন সকালে তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস দিঘা যাচ্ছিল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
হেঁড়িয়া শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:৫৭
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতীকী ছবি।

চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হল মা ও শিশু। বৃহস্পতিবার সকালে দিঘা-তমলুক রেললাইনের হেঁড়িয়া স্টেশন এলাকার ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতার নাম মমতা গিরি (২৬)। তাঁর বাড়ি খেজুরি-১ ব্লকের জরারনগরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন সকালে তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস দিঘা যাচ্ছিল। হেঁড়িয়া স্টেশন অতিক্রম করার পর ওই ট্রেনের সামনে কোলে একরত্তি ছেলেকে নিয়ে ঝাঁপ দেন মমতা। টুকরো হয়ে যায় মা ও ছেলের দেহ। কিছু দূরে গিয়ে এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামে। অনন্ত মান্না নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘কোনও কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি। তার আগে ছেলেকে নিয়ে ওই মহিলা চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়লেন।’’ খবর পেয়ে বাজকুল থেকে জিআরপি কর্মীরা গিয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করেন এবং হেঁড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

স্থানীয় সূত্রের খবর, মমতার বাপের বাড়ি জরারনগরের পড়শি গ্রাম কনিয়াচকে। বছর সাতেক আগে বাপন গিরি নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। মমতা পরচুলা পরিষ্কারের কাজ করতেন। মমতার কাকা গোপাল দাস বলেন, ‘‘ভাইঝির সঙ্গে তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি, জা এবং ভাসুর সব সময় ঝগড়াঝাটি করতেন। নিজে উপার্জন করলেও ওঁকে ওঁর ছেলের জন্য কোনও টাকা খরচ করতে দিতেন না। আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসার প্রস্তাব রেখেছিলাম। তার আগেই এই ঘটনা।’’ ঠিক কারণে মা ও ছেলে আত্মঘাতী হলেন, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা রুজু করেছে।

আরও পড়ুন
Advertisement