—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সমীক্ষা-তদন্তের কাজ শেষ পর্যায়ে। শীঘ্রই জেলা প্রশাসন প্রকাশ করবে আবাস প্রকল্পের খসড়া উপভোক্তা তালিকা। সেই জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত এবং ব্লকস্তরে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্লক, মহকুমাশাসক, জেলাশাসকের অফিসে খসড়া তালিকা টাঙাতে হবে। জেলা প্রশাসনের ‘ওয়েবসাইটে’ও তা আফলোড করেতে হবে। এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে তার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। অভিযোগ জানতে এবং দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সমস্ত ব্লক, মহকুমাশাসকএবং জেলাশাসকের অফিসে ‘অভিযোগ বাক্স’ রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর অভিযোগ খতিয়ে দেখতেও প্রশাসনিক স্তরে দল তৈরি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, উপভোক্তাদের খসড়া তালিকা নিয়ে অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়ে গেলে জেলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রাম সভা ডেকে ওই উপভোক্তার তালিকা অনুমোদন করতে হবে। আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্লক লেভেল কমিটি, ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে ডিস্ট্রিক্ট লেভেল কমিটিতে তা অনুমোদন করাতে হবে। তার পরে চূড়ান্ত উপভোক্তা তৈরি হবে এবং পাকা বাড়ি উপকৃত পরিবারের নাম ‘রেজিস্ট্রেশন ও ভেরিফিকেশন’ করা হবে। আগামী ১২ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। এর পরে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে উপভোক্তাদের পাকাবাড়ি তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আবাস প্রকল্পের টাকা রাজ্য সরকার দেবে বলে ঘোষণা করা হয়। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনে পূর্ব মেদিনীপুরে এই প্রকল্পের উপভোক্তা তালিকা তৈরি করতে গত ২১ অক্টোবর থেকে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছিল। প্রথমে পঞ্চায়েত স্তরে সমীক্ষা করা হয়। পরে তালিকা যাচাই করার জন্য ব্লক ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা বিভিন্ন এলাকায় ‘তদন্তে’ যান। প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০১৮ সালের সমীক্ষার ভিত্তিতে তৈরি তালিকা ধরে পূর্ব মেদিনীপুরে প্রায় দেড় লক্ষ পরিবারের বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা ও তদন্ত হয়েছে। এছাড়া, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে জমা পড়া আবেদনও খতিয়ে দেখা হয়েছে। ওই সমীক্ষা ও তদন্তের আপাতত আগামী ২৭ নভেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলাপরিষদ) অনির্বাণ কোলে বলেন, ‘‘আবাস উপভোক্তা তালিকা নিয়ে তদন্তের কাজ চলছে। নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী উপভোক্তাদের খসড়া তালিকা প্রকাশ হবে। আর নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে গ্রাম সভা হবে। এ বিষয়ে ব্লক ও পঞ্চায়েতগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’