Cyclone Dana

‘দানা’য় দুর্যোগ, খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার সারা রাত নবান্নে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই নজরদারি চালিয়েছেন। ফোনে কথা বলেছেন দুর্যোগে প্রভাবিত জেলাগুলির জেলাশাসকদের সঙ্গে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৫১
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে দুর্যোগ হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। শুক্রবার জেলায় হাওয়ার দাপট ছিল। ভারী বৃষ্টিও হয়েছে। নিচু এলাকাগুলিতে জল জমেছে। জেলার সামগ্রিক দুর্যোগ পরিস্থিতি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোঁজ নিয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। দাঁতন, মোহনপুর প্রভৃতি এলাকার নামোল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ‘এই জায়গাগুলি ভাল করে দেখে নিতে হবে। ত্রাণটা ভালভাবে যাতে পৌঁছয়, দেখতে হবে।’

Advertisement

বৃহস্পতিবার সারা রাত নবান্নে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই নজরদারি চালিয়েছেন। ফোনে কথা বলেছেন দুর্যোগে প্রভাবিত জেলাগুলির জেলাশাসকদের সঙ্গে। শুক্রবার খুব ভোরের দিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন তিনি। প্রশাসন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী জানতে চেয়েছিলেন, দাঁতন, মোহনপুরে, নারায়ণগড়, কেশিয়াড়ির কী অবস্থা। জেলাশাসক জানিয়েছিলেন, প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

শুক্রবার দুপুরে নবান্নে ‘দানা’ সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন মমতা। জেলাগুলি ভার্চুয়ালি ছিল। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে ছিলেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের প্রধান সচিব সুরেন্দ্র গুপ্ত, জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার প্রমুখ। নবান্নের নির্দেশে জেলায় এসেছেন প্রধান সচিব। প্রশাসন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, দুর্যোগ মোকাবিলায় পশ্চিম মেদিনীপুরের টিম ভাল কাজ করেছে। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমি জেনেছি, ডিএম-এসপি থেকে শুরু করে ওঁরা সবাই খুব সাহায্য করেছে। এলাকায় গিয়েছে। যোগাযোগ রেখেছে। ভাল
কাজ করেছে।’’

মন্ত্রী তথা সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া, দাঁতনের বিধায়ক বিক্রম প্রধান, নারায়ণগড়ের বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট, কেশিয়াড়ির বিধায়ক পরেশ মুর্মুর সঙ্গেও এ দিন সকালে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পর্যালোচনা বৈঠকে মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘বিক্রমদাকে আমি প্রায় ৪০ বছর ধরে চিনি। উনি বললেন, ডিএমের টিম খুব সাহায্য করেছে। ডিএম- এসপি থেকে শুরু করে ওঁরা সবাই খুব
সাহায্য করেছে।’’

ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, বৃষ্টি কমে গেলে ভাল ভাবে সরেজমিনে পর্যালোচনা করতে হবে। তাঁর নির্দেশ, ‘মানুষের বিপদে পাশে থাকতে হবে। গাছ পড়ে গেলে, গাছ সরাতে হবে।’’ জেলা পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘আমরা অনেক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে এসেছিলাম। দুর্যোগে কারও প্রাণহানি হয়নি।’’

শুক্রবার দিনভর বৃষ্টি হয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। কখনও ভারী, কখনও অতি ভারী। মেদিনীপুরেই বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য লাল সতর্কতাই জারি করেছিল হাওয়া অফিস। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ, শনিবারও বৃষ্টি হবে। তবে পরিমাণ কিছুটা কমবে।

আরও পড়ুন
Advertisement