—প্রতীকী চিত্র।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকার সঙ্গে সহবাসের ঘটনায় অভিযুক্তের ২০ বছরের সাজা ঘোষণা ঝাড়গ্রাম আদালতে। ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি থানার এলাকার এই ঘটনায় অভিযুক্ত অমরেশ মাহাতো ২০২১ সাল থেকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি নাবালিকার সঙ্গে সহবাসে লিপ্ত হতেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ছিল, এর জেরে নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। কিন্তু পরে অভিযুক্ত বিয়ে করতে অস্বীকার করেন এবং গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন। ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর নাবালিকা জামবনি থানায় অমরেশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।অভিযোগের কয়েক দিনের মধ্যেই পুলিশ অমরেশকে গ্রেফতার করে।
ঝাড়গ্রাম স্পেশাল পকসো কোর্টের সরকারি আইনজীবী সুভাষ দ্বিবেদী বলেন, ‘‘এই ঘটনায় ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। ১০ এপ্রিল চার্জ গঠন হয় আদালতে। ১০ মে থেকে মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। চিকিৎসক, পুলিশ-সহ মোট ন’জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। পকসো আইনের ৬ ধারায় বুধবার পকসো আদালতের বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় অমরেশ মাহাতোকে দোষীকে সাব্যস্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। দোষী সাব্যস্থ হওয়া ওই ব্যক্তিকে ২০ বছরের কারাদণ্ডর এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত। অনাদায়ে তিন মাস সশ্রম করাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত। এ ছাড়া সরকারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ওই নাবালিকাকে তিন লক্ষ টাকা দেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।’’
ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘পকসোর মতো ঘৃণ্য অপরাধে অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা শুধুমাত্র আইনের শাসনই প্রতিষ্ঠা করে না, একটি বৃহত্তর সামাজিক বার্তা দেয় যা নারী সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার আঙ্গিকে বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’’