—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
লঙ্কা সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। ডবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে আদা, রসুনও। দশ দিনের মধ্যে আনাজের দাম কমানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেদিনীপুরের বাজারে অবশ্য আনাজের দাম সে ভাবে কমেনি এখনও। তবে কালোবাজারি ঠেকাতে বাজারে অভিযান শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশাসন আশাবাদী, শীঘ্রই দাম কমবে।
মেদিনীপুরের বাজারে আদা বিক্রি হচ্ছে কমবেশি ২০০ টাকা কেজি দরে। রসুন বিক্রি হচ্ছে কমবেশি ২৬০ টাকা কেজি দরে। লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে কম বেশি ১২০ টাকা কেজি দরে। বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁঝ অবশ্য এতটা নয়! পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কমবেশি ৫০ টাকা কেজি দরে। মুশকিলে পড়েছেন ক্রেতারা।
ধারাবাহিক মূল্যবৃদ্ধি থেকে নিস্তার মিলছে না যে সাধারণ মানুষের! জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘রসুন, আদার দাম বৃদ্ধির সঠিক কারণ বোঝা যাচ্ছে না!’’ তিনি অবশ্য জুড়ছেন, ‘‘অভিযান শুরু হয়েছে। দাম কমতে শুরু করবে কিছু দিন পর থেকেই।’’ দোকানিদের একাংশ জানাচ্ছেন, আদা-রসুন মূলত ভিন্ রাজ্য থেকেই আসে। জোগান কমেছে। তাই দাম কিছুটা বেড়েছে। শহরের বাজারে বেশিরভাগই নাসিকের পুরনো রসুন বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি বিপণন দফতর সূত্রের অবশ্য খবর, খুচরো বাজারে আদা, রসুনের দাম এত চড়া হওয়ার কথা নয়। মেদিনীপুরে খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম থাকা উচিত কেজি প্রতি ৪০ টাকার আশেপাশে। আদার দাম থাকা উচিত কেজি প্রতি ১৮০ টাকার আশেপাশে। রসুনের দাম কেজি প্রতি ২৪০ টাকার আশেপাশে, লঙ্কার দাম কেজি প্রতি ১১০ টাকার আশেপাশে থাকা উচিত।
কেন, তার ব্যাখ্যায় গিয়ে ওই সূত্রের দাবি, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ কুইন্টাল পিছু ৩,৭০০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। আদা কুইন্টাল পিছু ১৪,৫০০ টাকায়, রসুন কুইন্টালপিছু ১৮,৫০০ টাকায়, লঙ্কা কুইন্টাল পিছু ৮,০০০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। এর বেশি দরে নয়। খুচরো বাজারের দোকানিদের একাংশের দাবি, দাম বেশি পাইকারি বাজারেই। স্বাভাবিকভাবে তার প্রভাব পড়ছে খুচরো বাজারে।
বাজার অগ্নিমূল্য দেখে দশ দিনের মধ্যে আনাজের দাম কমানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের বাজারে বাজারেও পুলিশি নজরদারি শুরু হয়েছিল। আনাজের কালোবাজারি ঠেকাতেই শুরু হয় এই নজরদারি। কোথাও অভিযানে গিয়েছেন এসডিও, কোথাও বিডিও। কোথাও নজরদারি চালিয়েছে পুলিশের ‘ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ’ (ডিইবি)। ধরপাকড় অবশ্য হয়নি। তবে একাংশ দোকানিকে সতর্কও করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, বেশি দাম নেওয়া যাবে না। প্রশাসন সূত্রে খবর, বাজারে বাজারে এই নজরদারি আপাতত চলবে। পাশাপাশি, সপ্তাহে একবার করে জেলার টাস্ক ফোর্সের বৈঠকও হচ্ছে। কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
বৈঠক হচ্ছে। বাজারে দাম অবশ্য সে ভাবে কমছে না।