CPIM BJP Alliance

রাম-বাম সমঝোতা, মঞ্চের দখলে সমবায়

তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত এলাকায় সমবায় দখলকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখছে বিরোধীরা। রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:০৬
বোর্ড গঠন হওয়ার পর সমবায় বাঁচাও মঞ্চের সমর্থকদের উল্লাস।

বোর্ড গঠন হওয়ার পর সমবায় বাঁচাও মঞ্চের সমর্থকদের উল্লাস। নিজস্ব চিত্র।

সমবায় নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্থানীয় স্তরে সমঝোতা করেছিল সিপিএম ও বিজেপি। সমবায় বাঁচাও মঞ্চ তৈরি করে মিলেছিল সাফল্যও। বোর্ড গঠনেও অটুট থাকল সেই ঐক্য।

Advertisement

গত জুলাই মাসে দাসপুরের সুলতাননগর জৌতগৌরাঙ্গ সমবায় সমিতির নির্বাচন হয়েছিল। ৩১টি আসনের ওই সমবায়ে সমবায় বাঁচাও মঞ্চ ১৬ টি আসন দখল করেছিল। তৃণমূল পেয়েছিল ১৫টি আসন। শুক্রবার ছিল তার বোর্ড গঠন। মঞ্চই বোর্ড তৈরি করে এ দিন।

তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত এলাকায় সমবায় দখলকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখছে বিরোধীরা। রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। সমবায় সমিতির নির্বাচনে বাম-বিজেপির সমঝোতা অবশ্য এটা প্রথম নয়। এর আগেও দাসপুরে, পূর্ব মেদিনীপুরে নন্দকুমারে রাম-বাম সমঝোতার ছবি দেখা গিয়েছিল। তারপরে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছিল সিপিএম নেতৃত্ব। এক্ষেত্রে অবশ্য স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব দোষের কিছু দেখছেন না। দাসপুরের সিপিএম নেতা সুনীল অধিকারী বলেন, “তৃণমূলের দুর্নীতি বন্ধ করা এবং সমবায়ে আমজনতার টাকা সুরক্ষিত করতে তৃণমূল বিরোধী সব পক্ষ এক হয়েছিল। তখনই সমবায় বাঁচাও মঞ্চ গঠন করা হয়েছিল। সাধারণ মানুষ এই মঞ্চকেই বেছে নিয়েছে।” বিজেপি নেতা প্রশান্ত অধিকারীও বলেন, “সমবায়ের দুর্নীতি ঠেকাতে তৃণমূল বিরোধী সমবায় বাঁচাও মঞ্চ তৈরি হয়েছিল। মূল লক্ষ্য ছিল, সমবায়ের বোর্ড দখল। সমবায় বাঁচানো। সেটা হয়েছে।”

২০১৯ সালে ওই সমবায়ের পরিচালনা কমিটির বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। তারপর থেকে আর নির্বাচন হয়নি। তার আগে তৃণমূল দায়িত্বে ছিল। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রশাসক বোর্ড সমবায় পরিচালনা করছিল। লোকসভা ভোটের আগে হাই কোর্টের অনুমতি নিয়ে ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। ১২ জুলাই নির্বাচন হয় সেখানে। সমবায় ভোটে সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দল অংশ নেয় না। থাকে না প্রতীকও। ৩১টি আসনের ওই সমবায়ের সিংহভাগ আসনেই মঞ্চ ও তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের মুখোমুখি লড়াই হয়েছিল। ভোটের দিন গোলমাল হয়। গণনার কারচুপির অভিযোগ তুলে দফায় দফায় ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়ক অবরোধ হয়েছিল। তৃণমূলও পুনর্গণনার দাবি তোলে। গণনায় দেখা যায় সমবায় বাঁচাও মঞ্চের ঝুলিতে ১৬টি ও তৃণমূলের ঝুলিতে ১৫টি আসন গিয়েছে। সেই ভোট পরবর্তী সময়েও অটুট থাকল মঞ্চের ঐক্য।

তৃণমূলের ঘাটাল সাংগাঠনিক জেলা সভাপতি আশিস হুতাইত বলেন, “বিজেপি-সিপিএম যে ভাই-ভাই, সেটা ওই সমবায়ের বোর্ড গঠনে আরও স্পষ্ট হল। জোট করে সমবায় দখল করেছে তারা। তবে তারপরেও তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা সেখানে ভাল লড়াই দিয়েছেন।”

আরও পড়ুন
Advertisement