চলছে বইমেলার প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র।
জেলা বইমেলায় উদ্বোধনে শাসকদলের বিধায়ক এবং জনপ্রতিনিধিরা আমন্ত্রিত হলেও ডাক পাননি স্থানীয় বিরোধী বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক। তাঁর নাম আমন্ত্রণ লিপিতে ছাপাও হয়নি বলে অভিযোগ।
আগামীকাল রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বইমেলা। চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। খেজুরি-১ ব্লকের হেঁড়িয়া শিবপ্রসাদ ইনস্টিটিউশনের মাঠে এই মেলা বসবে। তার আগে মেলা ঘিরে ‘আমরা-ওরা’-র রাজনীতির অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বইমেলা কমিটির পরিচালনায় জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসনের অধীন রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। উদ্বোধন করার কথা রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা জেলা থেকে নির্বাচিত রাজ্যের মৎস্য দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরীর এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকার কথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিকের।
যে এলাকায় বইমেলার আসর বসছে, এই এলাকা থেকেই জেলা পরিষদের আসনে জয়ী হয়ে সভাধিপতি নির্বাচিত হন উত্তম। ওই এলাকা খেজুরি বিধানসভার অন্তর্গত। সেখানকার বিধায়ক বিজেপির শান্তনু প্রামাণিক। তিনি কিন্তু বইমেলার উদ্বোধনে অতিথি হিসেবে ডাক পাননি বলে অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ, রাজনীতিতে ন্যূনতম সৌজন্যবোধের তোয়াক্কা করছে না তৃণমূল। গত কয়েক বছর ধরে সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিরোধী বিধায়ক কিংবা সাংসদদের ব্রাত্য রাখার রেওয়াজ চলে আসছে।
এ বিষয়ে শান্তনু প্রামাণিক বলেন,"সরকারি মেলাকে শাসকদলের অনুষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। শুনেছি, স্থানীয় বিধায়ক হিসেবে আমার নামটুকু আমন্ত্রণ লিপিতে ছাপার সৌজন্য দেখানো হয়নি। এটা বইপ্রেমীদের কাছে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে।’’ এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক জানান,"এটা জেলা পরিষদ কিংবা শাসকদলের কোনও কর্মসূচি নয়। প্রশাসনের উদ্যোগে মেলা হচ্ছে। আমন্ত্রিতদের নামের তালিকা কিংবা কাকে ডাকা হবে, তা সম্পূর্ণ চূড়ান্ত করেছে প্রশাসন।’’ জেলা বইমেলা কমিটির সম্পাদক তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক বিদ্যুৎ দাস বলেন,"আমন্ত্রণ লিপিতে খেজুরির বিধায়কের নাম কেন নেই খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে সকলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।"