সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকেই তাকিয়ে শাসক-বিরোধী দুই পক্ষ। —প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছেন। তারপরেও কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি নির্বাচন ঘিরে জট অব্যাহত শাসক দলে। বিভ্রান্তি কাটাতে দলের ঘোষিত প্রার্থীদের নাম লিফলেট আকারে প্রকাশ করা হবে বলে তৃণমূলের এক সূত্রের খবর।
সপ্তাহ খানেক বাকি এই সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনের। প্রচারে ঝাঁপিয়েছে গেরুয়া শিবিরও। তার আগে কাল, সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকেই তাকিয়ে শাসক-বিরোধী দুই পক্ষ।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ১০৮টি আসনে প্রতিনিধি নির্বাচন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৩০ জন প্রার্থী। পরীক্ষা চলায় ভোটগ্রহণ এবং গণনার জন্য স্কুল দিতে কর্তৃপক্ষ রাজি হননি। শেষ মুহূর্তে কয়েকটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র বদলেছে নির্বাচন কমিশন। ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন এগরার প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর বেরা। কাল, সোমবার প্রথমার্ধে তার শুনানি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অতীতে আইনি জটিলতায় একাধিকবার পিছিয়েছে এই ব্যাঙ্কের নির্বাচন। এবারও পিছোয় কিনা সংশয় রয়েছে।
দীর্ঘদিন এই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এ বার তিনি সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও এখানে শুভেন্দুর ছায়ার সঙ্গেই তৃণমূলের লড়াই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বি তৃণমূলের তরফেও প্রচার চলছে। তবে শাসক দলের মাথাব্যথা বিবদমান দুই শিবিরের পৃথক প্যানেল। রাজ্য নেতৃত্ব ১০৮ জন প্রার্থীর প্যানেল ঘোষণা করেছেন। যদিও সেই তালিকায় কারা রয়েছেন, আর কারা বাদ পড়েছেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে।
এই অবস্থায় স্থানীয় সংবাদপত্র থেকে লিফলেটে পৃথক প্রচার চালাচ্ছেন জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিক এবং রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির শিবিরের প্রার্থীরা। এতে ভোটাররা বিভ্রান্তি হচ্ছেন বলে দাবি। তা কাটাতে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে প্রার্থীদের নামের লিফলেট ছড়ানো হবে বলে খবর। সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ না দিলে সোমবার বিকেলে ওই লিফলেট জেলা নেতৃত্বকে পাঠানো হবে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। এ বিষয়ে কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান তথা যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় আসবেন। তার আগে সোমবার দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচন নিয়ে কিছু বার্তা দিতে পারেন।’’ কিন্তু সমবায়ের নির্বাচনে সরাসরি রাজনৈতিক দলের ব্যানারে লিফলেট প্রকাশ করা হবে কিনা, সেই প্রশ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে কিছু জানা নেই বলে দাবি তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পীযূষকান্তি পন্ডার। বিজেপির কাঁথি জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক অরূপকুমার দাসের দাবি, ‘‘সমবায়ীরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে তৃণমূলের প্রার্থীরা নিশ্চিত পরাজিত হবেন। বিজেপি সরাসরি লড়ছে না। তবে বিজেপিমনস্ক সমবায়ীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরাই পরিচালন কমিটি গঠন করবে।’’