Suicide in Operation Theatre

‘সম্পর্ক মানেনি প্রেমিকার পরিবার’, হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে আত্মহত্যা! চাঞ্চল্য তমলুকে

পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত হাসপাতালকর্মীর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচা এলাকায়। প্রায় সাত বছর ধরে তমলুক শহরের ওই বেসরকারি হাসপাতালের ওটি রুমের কর্মী হিসাবে কাজ করছেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৩

— প্রতীকী চিত্র।

বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এক কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। সোমবার দুপুরে সাহেব দাস নামে এক হাসপাতাল কর্মীর দেহ মেলে অপারেশন থিয়েটারের ঘর (ওটি রুম) থেকে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, হাসপাতালেরই এক মহিলাকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ওই কর্মী। সেই সম্পর্কের জটিলতার জন্য সাহেব আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত হাসপাতালকর্মীর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচা এলাকায়। প্রায় সাত বছর ধরে তমলুক শহরের ওই বেসরকারি হাসপাতালের ওটি রুমের কর্মী হিসাবে কাজ করছেন তিনি। থাকার ব্যবস্থা ছিল হাসপাতালেই। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত একাধিক রোগীর অপারেশান হয়েছে ওটি রুমে। তবে ওই সময় হাসপাতালের ওই কর্মী দায়িত্বে ছিলেন না। পরে রাতের দিকে সবার নজর এড়িয়েই নাকি ওটি রুমে ঢোকেন সাহেব। সোমবার দুপুরে অন্যান্য কর্মী ওটি রুম থেকে সাহেবের দেহ উদ্ধার করেন।

নমিতা দাস নামে সাহেবের পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘‘সকাল ১১টা নাগাদ বাড়ির কাছে দোকানে কাজ করছিলাম। সেই সময় প্রতিবেশীরা খবর দেন সাহেবের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে। তখন থেকে বার বার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিছু সময় পরে পুলিশের তরফ থেকে আমাদের জানানো হয় যে সাহেব মারা গিয়েছে!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পরিবারের একমাত্র ছেলে ও। কী কারণে ওর এমন পরিণতি হল, বুঝতে পারছি না।’’ হাসপাতালের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানকার এক মহিলাকর্মীর সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সাহেব। কিন্তু ওই মহিলাকর্মীর পরিবার এই সম্পর্ক মানেনি। তাতে নাকি মানসিক আঘাত পান সাহেব। বেশ কিছু দিন ধরে তাঁকে অন্যমনস্ক দেখাত। সম্ভবত ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপড়েন থেকে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছেন কয়েক জন। সাহেবের বাবা শঙ্কর দাসও জানান, ছেলের সঙ্গে হাসপাতালের এক মহিলাকর্মীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সে জন্য তাঁকে বকাবকি করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘রবিবার রাতে সাহেব মেয়েটির সঙ্গে দেখা করেছিল। তবে তার পর কী ঘটেছে তা আমাদের জানা নেই।’’

পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ইতিমধ্যে সাহেবের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement