দিঘার সৈকতে পর্যটকদের ভিড়। ফাইল চিত্র
হয় নিতে হবে করোনার দু’টি টিকা অথবা থাকতে হবে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট। না হলে পা দেওয়া যাবে না দিঘায়। সৈকত শহরে কোভিড সংক্রমণে লাগাম টানতে পর্যটকদের জন্য নয়া নিয়ম জারি করল কাঁথি মহকুমা প্রশাসন।
লকডাউন শিথিল হতেই পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ব্যাপক ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। সেই ভিড়ে রাশ টানতে সোমবার এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে কাঁথি মহকুমা প্রশাসন। এ বার থেকে দিঘায় বেড়াতে এলে পর্যটকদের সঙ্গে রাখতে হবে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট। তা ছাড়া কেউ যদি করোনার দু’টি টিকা নেওয়ার শংসাপত্র দেখাতে পারেন, তা হলেও দিঘা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার হোটেলে থাকার ছাড়পত্র পাবেন।
নয়া ওই নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। কাঁথির মহকুমাশাসক আদিত্যমোহন হিরানি এই নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছেন, দিঘায় আসার ৪৮ ঘণ্টা আগে করা করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট গ্রহণযোগ্য হবে। তবে তার আগের রিপোর্ট গ্রাহ্য করা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। হোটেলে প্রবেশের আগে প্রত্যেক পর্যটককে পরীক্ষার রিপোর্ট দেখাতে হবে অথবা দু’টি টিকা নেওয়ার শংসাপত্র দেখাতে হবে। পাশাপাশি নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, এই নির্দেশ কাঁথি মহকুমা এলাকার সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রের হোটেল এবং কটেজগুলির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। হোটেলগুলিকেও পর্যটকদের করোনা রিপোর্ট সংক্রান্ত নথি রেখে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এও বলা হয়েছে, প্রশাসনিক নির্দেশিকা হোটেলে এমন ভাবে রাখতে হবে, যাতে তা সকলে দেখতে পান। নির্দেশ না মানলে হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।
সরকারি নির্দেশিকার সব দিক খতিয়ে দেখার জন্য শনিবার বৈঠকে বসতে চলেছে হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা যখন জারি হয়েছে তখন তা মানতেই হবে। তবে এত কড়াকড়ি হলে হোটেল ব্যবসা পুরোপুরি মুখ থুবড়ে পড়বে। কীভাবে কোভিড বিধি মেনে সব দিক সামাল দেওয়া যায় তা নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হবে।’’ স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দিঘায় পর্যটকদের গতিবিধি বাড়ার জেরে সৈকত তীরবর্তী এলাকাগুলিতে জীবাণুনাশক ছড়ানো হচ্ছে। দমকল বিভাগের কর্মীরা রামনগর থেকে দিঘা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ সৈকত সরণিতে জীবাণুনাশক ছড়াচ্ছেন।