—প্রতীকী চিত্র।
ধান বোঝাই লরি নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন চালক। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা হয়নি। অবশেষে ধান ব্যবসায়ীর স্ত্রীর বুদ্ধিমত্তায় পুলিশের জালে ধরা পড়লেন সেই চালক। নদিয়ার নবদ্বীপ থেকে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। ধৃতের নাম শেখ সারুখ আলি। তাঁর বাড়ি হুগলির হরিপাল থানার আলিপুর নয়ানগরে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে নবদ্বীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক অভিযুক্তের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের সালার থানা এলাকার ব্যবসায়ীর ধান চুরির অভিযোগ উঠেছিল সারুখের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে ওই ব্যবসায়ীর ধান নিয়ে পালিয়েছিলেন অভিযুক্ত। বার বার ফোন করা হলেও ফোন তোলেননি। বিভিন্ন জায়গায় সারুখের খোঁজ করেও তাঁকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এর পরেই ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী সারুখের ফোন নম্বর জোগাড় করে তাঁকে ফোন করেন। সেই ফোন তুলেছিলেন সারুখ। এর পর ব্যবসায়ীর স্ত্রী ধীরে ধীরে তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তাঁকে প্রেমের ফাঁদেও ফেলেন। সেই মহিলার কথায় প্রভাবিত হয়েই নবদ্বীপ চলে এসেছিলেন সারুখ। সেই সময়েই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ীর ধান বর্ধমানের কোনও মিলে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল সারুখের। ঘটনার কয়েক দিন পর ওই লরিটি উদ্ধার হয়েছে। তবে চুরি যাওয়া ধানের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার ডিএসপি মোত্তাকিনুর রহমান বলেন, ‘‘মহিলার নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদেও যুবকের বিরুদ্ধে আলাদা একটি অভিযোগ রয়েছে।’’