mamata banerjee

দলত্যাগকে পাত্তা নয়, বৈঠকে বার্তা মমতার

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য সফরে রবিবার রাজ্যের পদত্যাগীমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক বিধায়ক ও নেতার বিজেপিতে যোগদান প্রায় নিশ্চিত ছিল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২১ ০৬:৫৩
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

তৃণমূল থেকে নেতা-বিধায়কদের আরও এক ঝাঁক যখন বিজেপিতে যাওয়ার জন্য তৈরি ঠিক তার আগে নিজের দলের বৈঠক ডেকে শুক্রবার ফের জানিয়ে দিলেন, এ সব নিয়ে কোনও আলোচনাই করবেন না। যদি কারও যাওয়ার ইচ্ছা থাকে চলে যান। তাতে দলের কিছু আসেযায় না।’’

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য সফরে রবিবার রাজ্যের পদত্যাগীমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক বিধায়ক ও নেতার বিজেপিতে যোগদান প্রায় নিশ্চিত ছিল। রাতে ওই সফর বাতিল হলেও জানানো হয়েছে, ডুমুরজলার সভায় যোগদান পর্ব চলবে। এই অবস্থায় শুক্রবার মমতার কড়া মন্তব্য কার্যত দলের মনোবল বাড়ানোর দাওয়াই হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল। শুভেন্দু-পর্ব থেকে শুরু করে ধারাবাহিক ভাবে মমতা দলত্যাগের বিষয়টি নস্যাৎ করে আসছেন।

Advertisement

এ দিনের বৈঠকে বিজেপির রথযাত্রার সমান্তরালে ১৫ দিনের ঠাসা কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। তিনি জানিয়ে দেন, সাংসদ ও পুরনো বিধায়ক ও পরিচিত মুখের নেতাদের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই রাজ্য ব্যাপী নিবিড় প্রচারে নামতে হবে। সেখানে বিশেষ করে অভিনেতা-সাংসদ দেব, নূসরত, মিমি সহ কয়েকজনের নামও নেন। দেব অবশ্য অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় এ দিনের বৈঠকে আসতে পারবেন না বলে জানিয়ে রেখেছিলেন। আর মিমি তৃণমূলনেত্রীকে বলেন তিনি ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে নির্বাচনে দলের সময় দিতে পারবেন।

মমতা অবশ্য গোড়াতেই সতর্ক করে দেন, ‘‘আমরা কর্মসূচি পালনে অন্য কোনও দলের সঙ্গে সংঘাতে যাব না। প্ররোচনা তৈরি করব না। তাতে পা-ও দেব না।’’ নাগরিকত্বের প্রশ্নে তৃণমূল যে প্রচার জোরদার করবে তা বুঝিয়ে মমতা বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার কোনও প্রকল্পে ভেদবিচার করেনি। কিন্তু নাগরিকত্ব আইনে বিজেপি সরকার তা করতে চাইছে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন