Mamata Banerjee

বাংলাদেশের মতো আমার সরকারও ফেলবে ভাবছে? আমি ক্ষমতার মায়া করি না! পাল্টা আক্রমণে মমতা

আরজি করের ঘটনায় গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যে নানা ধাঁচের আন্দোলন চলছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনার তুলনা টানছেন অনেকে। বুধবার সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে পাল্টা আক্রমণে গেলেন মমতা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৪ ২০:০০
(বাঁ দিকে) বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আরজি কর আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে কেউ কেউ বাংলাদেশের শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে চলা আন্দোলনের তুলনা টানতে শুরু করেছেন। একাধিক বিরোধী দলের নেতারা যখন বাংলাদেশের আদলে স্লোগান বানাতে শুরু করেছেন, একই ধরনের প্রচার যখন সংবাদমাধ্যমেও চলছে, তখন স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দেওয়া বক্তৃতায় সেই প্রসঙ্গ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। মমতা বলেন, ‘‘অনেকে ভাবছেন, বাংলাদেশের মতো এখানেও সরকার ফেলে দেবে। আমি ক্ষমতায় মায়া করি না।’’

Advertisement

বুধবার বেহালায় প্রাক্‌-স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মমতা। সেখান থেকেই আরজি করের ঘটনা এবং তার প্রতিবাদ আন্দোলন প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা বলেছেন তিনি। মমতার কথায়, ‘‘আরজি করের ঘটনা নিয়ে সিপিএম এবং বিজেপি রাজনীতি করছে। বাংলাদেশে একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। অনেকে ভাবছেন, বাংলাদেশের ঘটনা টেনে এনে এখানেও ক্ষমতা দখল করবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, আমি ক্ষমতার মায়া করি না। যত দিন বাঁচব, মানুষকে ন্যায়বিচার এনে দেব। এই ঘটনা জানার পরেও আমি পুলিশকে দিয়ে অনেক কাজ করিয়েছিলাম। কিন্তু ওঁরা হাই কোর্টে গেলেন।’’ উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনা নিয়ে হাই কোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার তার শুনানিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে যে আন্দোলন চলছে, তা বিশেষ রাজনৈতিক দল পরিকল্পিত ভাবে করাচ্ছে, মন্তব্য করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা অধিকাংশই ছাত্রছাত্রী নন। রাজনৈতিক দল এটা পরিকল্পিত ভাবে করছে। ভাবছে মমতাকে ক্ষমতা থেকে সরাবে। ওরা জানে না, মমতার সরতে আসলে এক সেকেন্ড লাগে। ঠিক যে ভাবে আমি রেল থেকে সরে এসেছিলাম। অন্যায়ের কাছে আমি মাথা নত করি না, করব না। দরকার হলে মানুষের কাছে মাথা নত করব, কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের কাছে নয়।’’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে যে ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার ধাক্কায় পড়ে গিয়েছে হাসিনার সরকার। হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়তে এবং দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। রয়েছেন নয়াদিল্লির কোনও গোপন আশ্রয়ে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ধীরে ধীরে সরকারবিরোধী আন্দোলনের রূপ নিয়েছিল বাংলাদেশে। কেউ কেউ সেই আন্দোলনের সঙ্গে আরজি কর আন্দোলনের তুলনা টেনেছিলেন। মমতা সে প্রসঙ্গই তুললেন প্রাক্‌-স্বাধীনতার অনুষ্ঠান থেকে। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এক যোগে সিপিএম এবং বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন মমতা। এই ‘রাজনৈতিক চক্রান্তের’ বিরুদ্ধে তৃণমূলের পাল্টা কর্মসূচির ডাকও দিয়েছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement