মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৫৯ লক্ষ লোকের কাছে ১০০ দিনের টাকা পৌঁছে দিয়েছে তাঁর প্রশাসন।
মমতা বলেন, ‘‘পূর্ব মেদিনীপুরে স্কুলশিক্ষায় সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে কার জন্য? আমিও সব খবর রাখি। কিসের বিনিময়ে চাকরি হয়েছে? আমি বলছি, কারও চাকরি আমি যেতে দেব না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘সব থেকে বেশি খেয়েছে পার্টির থেকে। নিজে ধরা পড়ার ভয়ে কোর্টে গিয়েছে। চাকরি আটকাচ্ছে। গদ্দারই এখানে সব থেকে বেশি খেয়েছে। সব থেকে বেশি দুর্নীতি করেছে।’’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমিই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করব। টাকা লাগবে। ২-৩ বছরে আমরাই করে দেব। কেন্দ্রের কাছে হাত পাতব না। আমাকে দেব বার বার করে বলেছে। এই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই সম্ভব হবে।’’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দিল্লি থেকে কিছু লোক ভোটের সময় আসে। মানুষ মরে গেলেও তাদের পাত্তা পাওয়া যায় না। এসে বলে, তারাই নাকি সব করেছে! আমি বলি, তোমরা কী করে করছ ভাই? মাছের তেলে মাছ ভাজো আর মিথ্যে কথা বলো।’’
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলা প্রশাসনিক অফিস চত্বরে প্রশাসনিক সভা মঞ্চ থেকে জেলার একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী।