Mamata Banerjee

ধূপগুড়ির দুর্ঘটনা দুঃখজনক, নিহতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ করে ক্ষতিপূরণ মুখ্যমন্ত্রী মমতার

গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থসাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন মমতা। সামান্য আহতদের ২৫ হাজার টাকা করে অর্থসাহায্য দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২১ ১৪:০৭
পুরুলিয়ার প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী।

পুরুলিয়ার প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী। —নিজস্ব চিত্র।

ধূপগুড়ির দুর্ঘটনাকে দুঃখজনক বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে ওই দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারপিছু আড়াই লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন তিনি। বুধবার টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘ধুপগুড়িতে বাস দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি’।

নিহতদের পরিবারের পাশাপাশি আহতদের জন্য অর্থসাহায্যের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে অর্থসাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এ ছাড়া, সামান্য আহতদের ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

বুধবার পুরুলিয়ার বেলগুমা পুলিশ লাইনে একটি প্রশাসনিক সভা করেন মমতা। ওই সভা থেকেও ধূপগুড়ির ঘটনা নিয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘ধূপগুড়িতে একটা দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। বিয়েবাড়ির গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। মৃত ১৪ জনের পরিবারকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আড়াই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছি। আহতদের ৫০ হাজার এবং অল্প আহতদের ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছি। আজ অরূপ বিশ্বাসকে ওখানে পাঠাচ্ছি। গৌতম দেবও যাচ্ছেন। তাঁরা পৌঁছে এই ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়গুলি দেখে নেবেন।’’

মঙ্গলবার রাত থেকেই ময়নাগুড়ির তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে তাঁর পরামর্শ, ‘‘সকলকে বলব শীতকালে কুয়াশার সময় সাবধানে গাড়ি চালাতে। একটু সময় লাগলেও তাড়াহুড়ো করে জীবন না দিয়ে সাবধানে গাড়ি চালান।’’

পুলিশ জানিয়েছে, রাত ৯টা নাগাদ তিনটি ছোট গাড়ি করে ধূপগুড়ির ময়নাতলি এলাকায় বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন কনেপক্ষের আত্মীয়রা। রাস্তা ফাঁকা থাকায় উল্টো দিকের লেন ধরেই গাড়িগুলো যাচ্ছিল। সে সময় সঠিক লেন ধরেই উল্টো দিক থেকে ১০ চাকার একটি পাথরবোঝাই ডাম্পার ময়নাগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। জলঢাকা সেতুর কাছে কনেযাত্রীদের একটি গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে ডাম্পারটির। ফলে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে উঠে কাত হয়ে যায়। সে সময় পাশ কাটিয়ে কনেযাত্রীদের বাকি দুটো গাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করতেই ডাম্পারটি গাড়ি দুটোর উপর উল্টে যায়। যাত্রীসমেত ডাম্পারের তলায় চাপা পড়ে যায় গাড়ি দুটো। ঘটনাস্থলেই তিন শিশু-সহ ১২ জন নিহত হন। হাসপাতালের পথে আরও ২ জন মারা যান বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement