মহাকুম্ভে গিয়ে প্রাণ গেল মালদহের শিক্ষক অমিয় সাহার। —নিজস্ব চিত্র।
কুম্ভস্নানে গিয়ে প্রাণ হারালেন মালদহের এক শিক্ষকও। পরিবারের দাবি, ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বৈষ্ণবনগর থানার অন্তর্গত বীরনগর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চড়বাবুপুর এলাকার বাসিন্দা অমিয় সাহার (৩৩)। এই নিয়ে মহাকুম্ভে এ রাজ্যের চার জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে এখনও পর্যন্ত। নিখোঁজ বহু।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কার্তিকটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অমিয়। পরিবার এবং আত্মীয় মিলিয়ে মোট ১০ জনের সঙ্গে মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, ভিড়ের মধ্যে শ্বাসকষ্ট হওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন যুবক। ভিড় ঠেলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। শুক্রবার মালদহের বাড়িতে ফিরেছে অমিয়ের দেহ।
অমিয়ের বাবা বলেন, ‘‘ভিড়ের মধ্যে বুকে ধাক্কা লেগেছিল। আমায় বলল, বাবা বুকে লেগেছে। এটা বলতে বলতেই অজ্ঞান হয়ে গেল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়েই মারা যায়!’’
দেহ বাড়িতে আসার পর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার। মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে যোগী সরকারকে নিশানা করেছেন তিনি।
মহাকুম্ভে গিয়ে এ রাজ্যের এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অমিয় ছাড়া মহাকুম্ভে মারা গিয়েছেন কলকাতার গল্ফগ্রিনের বাসিন্দা বাসন্তী পোদ্দার, পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির বাসিন্দা ঊর্মিলা ভুঁইয়া, পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার বিনোদ রুইদাস, শিলিগুড়ির দীনেশ পণ্ডিতের।