সাগরে অমিত শাহ। নিজস্ব চিত্র
৭ দিনের ব্যবধানে ফের রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মতুয়া গড়ে তিনি বলেছিলেন, টিকাকরণ শেষ হলেই নয়া নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা হবে। বৃহস্পতিবার দেখার, তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে দাঁড়িয়ে নির্বাচনের মুখে কী বার্তা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার অমিত ১০:১৫ মিনিট নাগাদ কর্মসূচি শুরু করলেন। প্রথমে গেলেন দক্ষিণ কলকাতার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে। আধঘণ্টা রইলেন সেখানে। আরতি করলেন স্বামী প্রণবানন্দজি মহারাজের ছবিতে। শাহের উপস্থিতি উপলক্ষে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানে ভাষণ দিলেন তিনি। বললেন, ‘‘শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্বামী প্রণবানন্দজির এক গভীর যোগ ছিল। যে দেশ তৈরির পরিকল্পনা তিনি করেছিলেন, বর্তমান ভারত সরকারের লক্ষ্য হবে সেই বার্তা দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।’’ পাশাপাশি, সমাজসেবায় সঙ্ঘের ভূমিকার কথা উল্লেখ করলেন তিনি। এরপর নামখানায় কপিলমুনির আশ্রমে পুজো দিলেন তিনি। তারপর বক্তব্য রাখলেন ইন্দিরা ময়দানে।
অমিত বৃহস্পতিবার যখন রাজ্য এসে পৌঁছলেন, তখন ভোটের মুখে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। দিন কয়েক আগে বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করা বাবু মাস্টার। বুধবার কিছুটা তেমনই ঘটনা ঘটে মুর্শিদাবাদে। বোমার আঘাতে আহত হন রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব হিসাবে রাজ্যে উপস্থিত হয়ে গোটা পরিস্থিতি নিয়ে কী বলেন অমিত, সে দিকেও সকলের নজর থাকবে।
দুপুর ২.১৯: তোষণের রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতীক ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাওয়া হবে এই স্লোগান নিয়ে।
দুপুর ২.১৮: ‘জয় শ্রীরাম’ প্রসঙ্গ টেনে মমতাকে আক্রমণ অমিত শাহের।
দুপুর ২.১৭: ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ রুখে দেওয়া হবে, একটা পায়রাও ঢুকতে পারবে না।
দুপুর ২.১৬: নির্বাচনের দিন রাস্তায় একজনও তৃণমূলের গুণ্ডা দেখা যাবে না। ক্ষমতায় এলে মৎস্যজীবীদের বছরে ছ’হাজার টাকা। কিষান নিধি সম্মানের মতো প্রকল্প।
দুপুর ২.১৫: ক্ষমতায় এলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে লড়তে ‘জিরো ক্যাজুয়ালটি টাস্ক ফোর্স’ তৈরি করবে বিজেপি।
দুপুর ২.১৪: ক্ষমতায় এলে আমপান দুর্নীতি নিয়ে উচ্চস্তরের তদন্ত কমিটি তৈরি করবে বিজেপি, সাধারণ মানুষের টাকা ফেরাবে, অপরাধীদের জেলে পাঠাবে।
দুপুর ২.১২: গঙ্গাসাগরের মেলাকে আন্তর্জাতিক মেলা হিসাবে ঘোষণা করার কাজ করবে বিজেপি।
দুপুর ২.১০: দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে সমুদ্রজাত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে।
দুপুর ২.০৭: পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার তৈরি করুন, তাহলে ডাবল ইঞ্জিন সরকার বাংলার পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে পারবে। ক্ষমতায় এলেই সপ্তম বেতন কমিশন, সাগরের সভায় ঘোষণা করলেন অমিত শাহ।
দুপুর ২.০৫: সরকার পরিবর্তন নয়, দরিদ্র মানুষ, মহিলাদের অবস্থার পরিবর্তন চাইতেই এই যাত্রা। কাটমানির বিরুদ্ধে এই পরিবর্তন। তোষণের রাজনীতির পরিবর্তন চায় বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার থাকলে আইন শৃঙ্খলা বজায় থাকবে না।
দুপুর ২.০২: পরিবর্তন যাত্রা বাংলার সব বিধানসভা কেন্দ্রে যাবে। সারা রাজ্যে ১৫০০-এর বেশি সভা। প্রতিটি স্থানে মিছিল হবে। এই বাংলাকে সোনার বাংলা গড়ার লড়াই লড়বে বিজেপি। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে লড়বে বিজেপি।
দুপুর ২.০০: আজ আমার জীবনের সৌভাগ্যের দিন। কারণ, আজ মা গঙ্গা যেখানে সাগরে মিলিত হয়, সেখানে এসে আপনাদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
দুপুর ১.৫৮: অমিত শাহের সভায় বিশৃঙ্খলা, কালো পতাকা।
দুপুর ১.৫৭: ভাষণ দিতে শুরু করলেন অমিত শাহ।
দুপুর ১.৫৪: নিমতিতা স্টেশনে জাকির হোসেনের উপর বোমা হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাইলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দুপুর ১.৫১: অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় যোগ দিলেন বিজেপি-তে।
দুপুর ১.৩৮: নামখানার ইন্দিরা ময়দানে পৌঁছে গেলেন অমিত শাহ।
দুপুর ১.৩৫: বক্তৃতা করছেন রাহুল সিনহা।
দুপুর ১.১৪: ‘‘আজ আমার জন্য সৌভাগ্যের দিন, গঙ্গাসাগরের পবিত্র স্থানে উপস্থিত হতে পেরে আমি ভাগ্যবান। এই জন্যই কথায় বলে, সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার।’’ গঙ্গার পৌরাণিক মাহাত্ম্য বর্ণনা করলেন অমিত শাহ। ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার তৈরি হলে এখানেও ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের কাজ হবে। আমি সুনিশ্চিত করব, পশ্চিমবঙ্গে সরকার তৈরির পর পর্যটন সংক্রান্ত সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্প যাতে এখানে কার্যকর হয়। বিশ্বের কাছে এই স্থানের মাহাত্ম্য তুলে ধরা হবে।’’ বললেন অমিত শাহ।
দুপুর ১.১০: কপিল মুনির আশ্রমে আরতি করলেন।
দুপুর ১: কপিল মুনির আশ্রমে পৌঁছলেন।
দুপুর ১২.৪৫ : গঙ্গাসাগরে পৌঁছলেন অমিত শাহ।