Bagda

Kunal Ghosh: বিএসএফ এখন বিজেপি সিকিউরিটি ফোর্স, বাগদা গণধর্ষণ-কাণ্ডে কেন্দ্রকে আক্রমণ কুণালের

রবিবার কাশীপুর গ্রামসভা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে তৃণমূল। ওই সভায় যান কুণালরা। ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেন তাঁরা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বাগদা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২২ ২১:০৭
কাশীপুর গ্রামসভা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে তৃণমূলের সভা

কাশীপুর গ্রামসভা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে তৃণমূলের সভা

বাগদায় ধর্ষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র এক্তিয়ারের এলাকা বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল তৃণমূল। রাতের অন্ধকারে সন্তানের সামনে এক মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার বাগদায় গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধেও সুর চড়াল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সেই দলে ছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ও পার্থ ভৌমিক এবং বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বিএসএফ-কে বিজেপি সিকিউরিটি ফোর্স (নিরাপত্তা রক্ষী) বলে কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, ‘‘বিএসএফের কাজের এক্তিয়ার ১৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করার কথা বলেছে কেন্দ্র, আমরা তার প্রতিবাদ করেছি। এমন ঘটনা ঘটলে ৫০ কিলোমিটার করার অর্থ কী? সুরক্ষা বৃদ্ধির বদলে সর্বনাশ ঘটবে।’’

বৃহস্পতিবার রাতে বাগদা সীমান্তে এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে দুই বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতেই দুই জওয়ানকে গ্রেফতার করে বাগদা থানার পুলিশ। ওই ঘটনার প্রতিবাদে এবং দুই বিএসএফ জওয়ানের শাস্তি ও নারী সুরক্ষার দাবিতে রবিবার কাশীপুর গ্রামসভা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে তৃণমূল। ওই সভায় যান কুণালরা। ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেন তাঁরা। কথাও বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। এর পর কুণাল বলেন, ‘‘বিএসএফের বিপক্ষে নই আমরা। তাঁরা তো সীমান্তের সুরক্ষায় নিয়োজিত। কিন্তু এই বিএসএফ জওয়ানরা যদি মা-বোনদের সঙ্গে অসভ্যতা করে, তা হলে তো প্রতিবাদ করতেই হবে। এখানকার যা পরিস্থিতি, তাতে সন্ধ্যা ৬টার পর এখানে কোনও মহিলা বাইরে বেরোতে পারেন না। তাঁরা ভয় পাচ্ছেন। বিএসএফের কাজের এক্তিয়ার ১৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করার কথা বলেছে কেন্দ্র, আমরা তার প্রতিবাদ করেছি। এমন ঘটনা ঘটলে ৫০ কিলোমিটার করার অর্থ কী? সুরক্ষা বৃদ্ধির বদলে সর্বনাশ ঘটবে।’’

Advertisement

তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বিএসএফের ভাল ভাল ছেলেদের চার আনা বিজেপি নেতাদের বডিগার্ড বানানো হচ্ছে। আর এখানে যাঁরা পড়ে থাকছেন, তাঁদের নিয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বিএসএফকে বিজেপি সিকিউরিটি ফোর্সে পরিণত করা হয়েছে। ওদের নিয়ে সন্ত্রাসের কাজ করানো হচ্ছে। যা চলছে, তা চলতে পারে না। এটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। কী ভাবে এখনও সীমান্ত পারাপার হচ্ছে! আমরা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে গোটা বিষয়টি জানাব।’’

মন্ত্রী শশীও বলেন, ‘‘সীমান্ত পারাপার হয় এখানে। তার শাস্তি অন্য। কিন্তু সীমান্ত পেরোনোর জন্য কোনও বধূকে ধর্ষিত হতে হবে, এ কী কথা? এটা কি কোনও শাস্তি? এ সবের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবেই। মেয়েদের জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্প করেছেন দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)। তিনি এ-ও জানেন, কী ভাবে মেয়েদের রক্ষা করতে হয়। এই এলাকায় নারীদের সুরক্ষা নেই।’’

আরও পড়ুন
Advertisement