মৃত অর্জুনের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে চলছে দড়ি টানাটানি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কাশীপুরে বিজেপি যুব মোর্চার নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। বিজেপির দাবি, ২৮ বছরের তরতাজা যুবক অর্জুন তাদের সক্রিয় নেতা ছিলেন। তাঁর এক ডাকে এলাকায় কর্মীরা একজোট হতেন। তাই রাজনৈতিক রোষেই খুন হতে হয়েছে অর্জুনকে। অন্য দিকে, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অতীন ঘোষের দাবি, মৃত অর্জুন তৃণমূলেরই কর্মী ছিলেন। এমনকি তাঁর পরিবারে ‘আত্মহত্যার ইতিহাস’ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে বিজেপির দাবি, বিজেপি নেতা অর্জুন তাঁদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। দলের প্রায় প্রতিটি কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন তিনি। কিছু দিন আগে রামমন্দির তৈরির জন্য চাঁদা সংগ্রহও করেছেন। আর অমিত শাহের রাজ্য সফরের দ্বিতীয় দিনে অর্জুনের কাঁধে বাইক র্যালির দায়িত্ব ছিল বলে দাবি বিজেপির। তারা জানায়, মঙ্গলবার ২০০ মোটর বাইক নিয়ে র্যালি বার করার কথা ছিল অর্জুনের।
জানা গিয়েছে, অল্প বয়সেই বাবাকে হারান অর্জুন। বাবা একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী ছিলেন। পাশাপাশি, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁরও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় বলে খবর। এ নিয়ে তৃণমূলের দাবি, অর্জুনের বাবা কংগ্রেস কর্মী ছিলেন। তিনিও অর্জুনের মতো আত্মহত্যা করেন। আবার, বাবার মতো অর্জুনও একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। তবে এলাকায় তাঁকে লড়াকু নেতা হিসেবে সবাই চিনতেন বলে দাবি করেছে বিজেপি। অন্য দিকে, তৃণমূলের অভিযোগ, গত পুরভোটে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেছেন অর্জুন। এ নিয়ে বৃথা রাজনীতি করছে বিজেপি।
অর্জুনের পরিবার ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে। তাদের দাবি, অর্জুন কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। সব মিলিয়ে ২৮ বছরের যুবকের মৃত্যু ঘিরে সরগরম কাশীপুর।