Healthcare

স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অভিযোগ প্রতিকারে সাত সদস্যের কমিটি গড়ছে রাজ্য, যোগাযোগ করা যাবে ইমেলে

আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজ-সহ রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ উঠেছে। দাবি উঠেছে, চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪ ২২:৫১
Nabanna and Mamata

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে কোনও রকম অনিয়মের অভিযোগ জানতে কমিটি তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। যে কমিটির মাথায় থাকছেন এসএসকেএম হাসপাতালের ‘ভিজিটিং কনসালট্যান্ট’ সৌরভ দত্ত। এ ছাড়া আরও ছয় সদস্য থাকছেন ওই কমিটিতে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অভাব-অভিযোগ থাকলে ওই কমিটিকে ইমেলে তা জানানো যাবে। মঙ্গলবার একটি নোটিসে নবান্ন জানিয়েছে, কমিটির অফিস হবে সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনে।

Advertisement

আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজ-সহ রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ উঠেছে। দাবি উঠেছে, চিকিৎসক, জুনিয়র ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার। এ সব নিয়ে সোমবার রাতেই একগুচ্ছ দাবি তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। আরজি কর-কাণ্ডে আন্দোলনের মধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনার সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে।

ওই ঘটনার প্রতিবাদে আবার পূর্ণ কর্মবিরতিতে ফিরেছেন রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তারেরা। প্রথমে শুধু সাগর দত্তের জুনিয়র ডাক্তারেরা কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন। বাকি মেডিক্যাল কলেজগুলি কোন পথে হাঁটবে, সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার রাতে শুরু হয়েছিল জেনারেল বডির বৈঠক। ওই বৈঠকের পরেই সব মেডিক্যাল কলেজে আবার পূর্ণ কর্মবিরতির ঘোষণা করেছে জুনিয়র ডাক্তারদের মিলিত মঞ্চ। সেখান থেকে রাজ্য সরকারের কাছে ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের তরফে অভিযোগ প্রতিকারের জন্য একটি কমিটি গঠনের কথা জানানো হল। নোটিসে জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্য তথা সম্পাদক হচ্ছেন বারাসত মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক দেবযানী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর পাঁচ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন এসএসকেএমের চিকিৎসক যোগীরাজ রায়, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক সঞ্জীব চক্রোবর্তী, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক সুনেত্রা কবিরাজ রায়, আরজি করের অধ্যাপক দেবব্রত দাস এবং কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক স্মার্ত পুলাই।

কমিটির প্রধান সৌরভ দত্ত আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এ নিয়ে শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা সমস্যা সমাধানে সর্বতো চেষ্টা করব।’’ সরকারি একটি সূত্রে খবর, বুধবারই রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠকে বসবেন ওই কমিটির সদস্যেরা। স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশ ওই কমিটি সম্পর্কে বলছেন, সদস্যেরা কেউই সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। তাই কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকবে না বলে তাঁদের বিশ্বাস।

আরও পড়ুন
Advertisement