Aliah University

Aliah University: অপমানে আলিয়া ছাড়তে চান উপাচার্য, ঘটনার কথা বলতে গিয়ে ভেঙে পড়লেন কান্নায়

গিয়াসউদ্দিনদের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তাঁরা জোর করে ঢুকছে বলে অভিযোগ করেন নিগৃহীত উপাচার্য।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২২ ১৫:১৪
উপাচার্যকে ঘেরাও।

উপাচার্যকে ঘেরাও। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো থেকে নেওয়া। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার।

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলের বাহিনীর হাতে হেনস্থার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন উপাচার্য মহম্মদ আলি। গত সপ্তাহের ওই ঘটনার পরে সোমবার প্রথম প্রতিক্রিয়া জানালেন মহম্মদ। তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রেরা যে এই ভাষা প্রয়োগ করতে পারে, চড় মারার কথা, কান ধরে ওঠবস করতে বলতে পারে, তা আমার এখনও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। মনে হচ্ছে শিক্ষক হিসেবে আমি ব্যর্থ।’’

বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি আর আলিয়ায় থাকতে চান না বলে জানিয়েছেন উপচার্য। ফিরে যেতে চান নিজের পুরনো কর্মস্থল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। মহম্মদ বলেন, ‘‘আমি ইতিমধ্যেই আমাদের (যাদবপুরের) উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে একটি চিঠি দিয়েছি। উনি তাঁর জবাবও দিয়েছেন।’’ নিউ টাউনের ওই বিশ্ববিদ্য়ালয়ে তিনি আর নিজেকে ‘নিরাপদ’ এবং ‘সম্মানিত’ বলে মনে করছেন না বলে জানান মহম্মদ।

Advertisement

উপাচার্য জানিয়েছেন, ঘটনার দিন উত্তেজনা আঁচ পেয়ে তিনি প্রথমে বোর্ড রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযুক্তেরা জোরে জোরে দরজা ধাক্কা দেওয়ার তিনি বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন। ‘দাপুটে’ ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন এবং তাঁর ১০-১৫ জন সঙ্গীর হাতে হেনস্থার সময় তিনি পুলিশকে ফোন করেও সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ করেছেন উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘ফোনে পুলিশকে জানানোর পরে তারা ‘দেখছি দেখছি’ বলে ফোন কেটে দেয়।’’

বহিষ্কৃত টিএমসিপি নেতা গিয়াসউদ্দিন-সহ অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তাঁরা নিরাপত্তারক্ষীদের ভয় দেখিয়ে জোর করে ঢুকেছে বলে অভিযোগ করেন নিগৃহীত উপাচার্য।

Advertisement
আরও পড়ুন