আদিবাসীদের তিনটি সংগঠনের সদস্যেরা রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার সংশ্লিষ্ট মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। —প্রতীকী চিত্র।
তিন দিন নিখোঁজ থাকার পরে বাড়ির কাছেই পুকুরের মধ্যে মুখ, হাত, পা বাঁধা অবস্থায় দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর দেহ মিলেছিল গত ৭ ডিসেম্বর। অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত সেই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পারেনি পুলিশ। আদিবাসী ওই ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে আদিবাসীদের তিনটি সংগঠনের সদস্যেরা রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার সংশ্লিষ্ট মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে স্মারকলিপিও দেন তাঁরা। বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, ‘‘সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণ করে খুন করার পরে দেহে ইট বেঁধে জলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হলেও ময়না তদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের উল্লেখ নেই।’’ ৪ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল মেয়েটি। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন পুলিশের আধিকারিকেরা। কিন্তু তদন্তে গতি আসেনি বলেই অভিযোগ পরিজনদের। এত দিন পরেও দুষ্কৃতীদের কেন চিহ্নিত করা গেল না, সেই প্রশ্ন উঠছে।