Anubrata Mondal

জেলেই থাকতে হবে অনুব্রতকে! গরু পাচার মামলায় জামিনের আবেদন খারিজ করল হাই কোর্ট

গত বছরের অগস্ট মাসে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত। তার পর তাঁর জায়গা হয় আসানসোল জেলে। পরে একই মামলায় অনুব্রতকে ইডি নিজেদের হেফাজতে নেয়। এর পর আদালতের দ্বারস্থ হন কেষ্ট।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:১০
গরু পাচার মামলায় গত অগস্ট মাস থেকে জেলে রয়েছেন অনুব্রত।

গরু পাচার মামলায় গত অগস্ট মাস থেকে জেলে রয়েছেন অনুব্রত। —ফাইল চিত্র।

বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার সিবিআই অনুব্রতের জামিনের বিরোধিতা করে। দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার কেষ্টর জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল উচ্চ আদালত।

বুধবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘তদন্ত যে পর্যায়ে রয়েছে, তা বিবেচনা করে এখনই ওঁর জামিন মঞ্জুর করা হচ্ছে না।’’

Advertisement

গত বছরের অগস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত। তার পর তাঁর জায়গা হয় আসানসোল জেলে। পরে একই মামলায় অনুব্রতকে ইডি নিজেদের হেফাজতে নিলেও খুনের চেষ্টার মামলায় রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূল নেতা। পরে জামিন পেয়ে রামপুরহাট জেল থেকে আবার আসানসোল জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অনুব্রতের আইনজীবী তাঁর জামিন চেয়ে আদালতে যুক্তি দেন, একই মামলায় সতীশ কুমার-সহ অন্য অভিযুক্তরা জামিন পেয়েছেন। তা হলে কোন যুক্তিতে তাঁর মক্কেলকে ১৪৫ দিনের বেশি জেলে বন্দি থাকতে হয়? যদিও সিবিআই অনুব্রতের জামিনের বিরোধিতা করে আবার টেনে আনে প্রভাবশালী তত্ত্ব। জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই এ-ও জানায়, বগটুই কাণ্ডে অনুব্রতের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতে অনুব্রতকে ‘রাজনৈতিক দৈত্য’ (পলিটিক্যাল জায়ান্ট) বলে মন্তব্য করে। তাদের দাবি, জামিন পেলে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন এই নেতা। এর পর মঙ্গলবার রায়দান স্থগিত রাখে উচ্চ আদালত। অবশেষে বুধবার তাঁর আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্ট।

আরও পড়ুন
Advertisement