হাসপাতাল পরিদর্শনের রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব। ফাইল ছবি।
শহরে অ্যাডিনো আতঙ্কের মধ্যেই বিসি রায় শিশু হাসপাতাল পরিদর্শনে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা। ঘুরে দেখলেন হাসপাতাল চত্বর। খতিয়ে দেখলেন পরিষেবা।
বুধবার, বিসি রায় হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য। বিসি রায় শিশু হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এই হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসেও কিছু বেড রেখে পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর। বুধবার স্বাস্থ্যসচিব এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার পরিদর্শনের পর বেডের সংখ্যা পর্যায়ক্রমিক ভাবে আরও বৃদ্ধি করা হবে। মোট ২২টি বেডের বন্দোবস্ত রাখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে বহু অসুস্থ শিশুকে বিসি রায় হাসপাতালে ‘রেফার’ করে দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে একান্তই রেফার করতে হলে হাসপাতালের সুপার এবং মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলে তবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মৃতদের অনেকের কো-মর্বিডিটি রয়েছে। অনেকগুলি ক্ষেত্রে হৃদ্রোগ ছিল বলেও দেখা যাচ্ছে। তবে বিসি রায় শিশু হাসপাতালের চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে আত্মবিশ্বাসী রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা।
এ দিকে মঙ্গলবার রাতে বিসি রায় হাসপাতালেই মৃত্যু হয় সোহন পাল নামে ২ বছর ৪ মাসের এক শিশুর। জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বুধবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছিল শরীরে। টানা ছ’দিন চিকিৎসার পরেও শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি পায়নি শিশুটি। চিকিৎসকেরা বাঁচাতে পারেননি তাকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির মৃত্যুর শংসাপত্রে জানিয়েছেন, অ্যাডিনোভাইরাস থেকে হওয়া নিউমোনিয়ার কারণেই তীব্র শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয়েছে তার।