Building Tilts in Kolkata

হেলে পড়া বাড়ি: তরজা চলছে শাসক ও বিরোধীর

শাসকদল যখন নাগরিকদের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলে রাজনীতির থেকে ঘটনার ‘দূরত্ব’ তৈরির চেষ্টা করছে, তখন বিরোধীরা একযোগে মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পুরসভা ও রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:০৪
কলকাতা পুর এলাকা ও সংলগ্ন অঞ্চলে পর পর বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তীব্রতর হয়েছে।

কলকাতা পুর এলাকা ও সংলগ্ন অঞ্চলে পর পর বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তীব্রতর হয়েছে। —ফাইল চিত্র।

কলকাতা পুর এলাকা ও সংলগ্ন অঞ্চলে পর পর বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তীব্রতর হয়েছে। শাসকদল যখন নাগরিকদের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলে রাজনীতির থেকে ঘটনার ‘দূরত্ব’ তৈরির চেষ্টা করছে, তখন বিরোধীরা একযোগে মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পুরসভা ও রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে। সেই সঙ্গে তারা সরব হয়েছে ‘কাটমানি’র অভিযোগেও।

Advertisement

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার বলেছেন, “আগে ঐতিহ্যশালী বাড়ির কথা শুনেছি। জীর্ণ বাড়ির কথাও শুনেছি! এখন নতুন সংযোজন হেলে পড়া বাড়ি। ফিরহাদ ‘হেলে পড়া’ হাকিম এর জন্য দায়ী। আগামী দিনে দেখা হবে কলকাতা পুরসভার সামনে।” সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, “ধার-ওয়ালা (ঋণ) সরকার, হেলে যাওয়া বাড়ি! সরকার প্রতিদিন ধার করছে, মানুষের বিপদ বাড়ছে। আমরা দীর্ঘ দিন অভিযোগ করে আসছি। নিয়ম না মেনে, জলাজমি বুজিয়ে, ভিত পোক্ত না-করে, পাঁচ ফুট রাস্তায় পাঁচতলা বাড়ি তুললে যা হওয়ার, তা-ই হচ্ছে। তার উপরে আছে কাটমানি।”

কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরীর দাবি, “মেয়রকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া উচিত। নোট খেয়ে এই সব কাজ হচ্ছে।’’

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য পাল্টা বলেন, ‘‘সিপিএমের সময়ে শিবালিক ভেঙে পড়েছিল। তখন এঁরা কোথায় ছিলেন?’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘সাধারণ মানুষকে অনুরোধ, কেনার সময়ে দেখে নেবেন, যে ফ্ল্যাট বা বাড়ি কিনছেন, সেটা জলাজমিতে কি না। তেমন হলে পুরসভা, পুলিশকে জানান।’’

Advertisement
আরও পড়ুন