Unnatural Death

আনন্দপুরে মহিলার মৃত্যু-তদন্তে সঙ্গীকে আটক

জানা গিয়েছে, আটক ওই ব্যক্তি পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন, ঘটনার দিন সকালে কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে মহিলার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৪ ০৬:৫৮

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দপুর থানা এলাকায় ঘর থেকে এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে উঠে এল একাধিক তথ্য। তদন্তে জানা গিয়েছে, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাড়ি ভাড়া নিলেও আদতে ওই যুগল বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ ছিলেন না। দু’জনেই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে আনন্দপুর থানা এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই বাড়িটি ভাড়া নেন। বাড়ির মালিককে তাঁরা তেমনই জানিয়েছিলেন। ঘটনার পর থেকে স্বামীর পরিচয়ে থাকা ওই ব্যক্তির খোঁজ মিলছিল না। ফলে সন্দেহ বাড়ছিল তদন্তকারীদের।

Advertisement

শনিবার সকালে মহিলার ওই সঙ্গীকে আটক করে আনন্দপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আটক ওই ব্যক্তি পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন, ঘটনার দিন সকালে কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে মহিলার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এর পরে ভয়ে তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ যদিও তাঁর বক্তব্য খতিয়ে দেখছে।

মহিলার মৃত্যুর কারণ খুন, না কি আত্মহত্যা, তা নিয়ে প্রশ্ন প্রথম থেকেই ছিল। এ দিন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়েছে। যার প্রাথমিক রিপোর্টে আত্মহত্যার ইঙ্গিত মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ঘটনাটি আদৌ আত্মহত্যা কি না, তা স্পষ্ট হবে ময়না তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে এলে। যদি আত্মহত্যাও প্রমাণিত হয়, সে ক্ষেত্রে প্ররোচনায় কেউ জড়িত কি না, কিংবা মনীষার সঙ্গীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় আনন্দপুর থানা এলাকার পূর্ব পঞ্চান্নগ্রামে ভাড়ার ঘর থেকে উদ্ধার হয় মনীষা বাগ নামে ওই মহিলার দেহ। দীর্ঘ সময় ধরে মহিলার ঘর থেকে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির মালিক আনন্দপুর থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘরে ঢুকে মহিলার দেহ পড়ে থাকতে দেখে। খাটের উপরে শোয়া মনীষার নাক থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল।

মনীষার সঙ্গী ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, মনীষা আদতে উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা। আটক ব্যক্তির বাড়িও উলুবেড়িয়ায়। দু’জনেরই বিবাহ সূত্রে আলাদা সংসার রয়েছে। মাসকয়েক আগে দু’জন বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। মাসখানেক আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আনন্দপুর থানা এলাকায় বাড়ি ভাড়া নেন তাঁরা। সন্দেহ এড়াতেই সকলের কাছে নিজেদের স্বামী-স্ত্রী বলে পরিচয় দিতেন।

আরও পড়ুন
Advertisement