গত বছরও মুখ্য তথ্য কমিশনার বাছাইয়ের জন্য নবান্নে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। কিন্তু সে বারও বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যের মুখ্য তথ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বৈঠকে থাকছেন না তিনি। বুধবার বৈঠকের কিছু ক্ষণ আগে টুইট করে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, আগেই নির্ধারণ করা হয়েছে, কে ওই চেয়ারে বসবেন। এখন নামমাত্র বৈঠক ডাকা হয়েছে। তাই তিনি থাকছেন না।
টুইটে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘আমি রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগের জন্য কমিটির বৈঠকে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, সংশ্লিষ্ট আবেদনগুলি সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছে। ইতিমধ্যে পূর্বনির্ধারিত প্রার্থীকে অনুমোদন করে দেওয়া হয়েছে।’’ এর পর এই বৈঠককে ‘প্রহসনমূলক প্রক্রিয়া’ বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু। এ নিয়ে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবকে যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তার ছবিও ওই টুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা।
I have declined the invitation to join the Committee Meeting for appointing the State Chief Information Commissioner, as because the advertising guidelines for inviting applications have been violated, reducing it to a farcical process to approve an already pre-decided Candidate. pic.twitter.com/CAEqFDZgGf
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) February 15, 2023
প্রোটোকল অনুযায়ী, রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগের জন্য মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং পরিষদীয় মন্ত্রী বৈঠকে বসবেন। সেই প্রোটোকল মেনে বুধবার বিধানসভায় এই বৈঠক হচ্ছে। বস্তুত, ৬ মাসের বেশি সময় ধরে রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনারের পদটি খালি পড়ে রয়েছে। চলতি বছর ১৫ জন এই পদের জন্য আবেদন করেন। তাঁদের মধ্যে চার জন বয়সজনিত কারণে বাদ গিয়েছেন। এর পর ১১ জনের মধ্যে এক জনকে বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়। দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন প্রাক্তন আমলা এবং পুলিশ কর্তারা। খাদ্যভবনেও রয়েছে মুখ্য তথ্য কমিশনারের দফতর। নিয়োগের পর সেখানেই বসবেন নতুন কমিশনার।
গত বছরও মুখ্য তথ্য কমিশনার বাছাইয়ের জন্য নবান্নে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। কিন্তু সে বারও বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। কেন তিনি ওই বৈঠকে যাননি, তা অবশ্য স্পষ্ট করে কখনও জানাননি বিরোধী দলনেতা। এ বার তিনি কারণ জানালেন টুইট করে। তবে তিনি যে অনুপস্থিত থাকতে পারেন, তা নিয়ে আগেই প্রতিবেদন করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন।