RG Kar Incident

সাসপেন্ড টালা থানার প্রাক্তন ওসি, ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে তিনি এখনও সিবিআই হেফাজতে

আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে শনিবার রাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি। এ বার তাঁকে নিলম্বিত করা হল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:২৭
টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল।

টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। —ফাইল চিত্র।

টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে এ বার সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করল রাজ্য সরকার। আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গত শনিবার অভিজিৎকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। বর্তমানে তিনি রয়েছেন সিবিআই হেফাজতে। গ্রেফতারির পর চার দিন অতিক্রান্ত। এই অবস্থায় টালা থানার প্রাক্তন ওসিকে নিলম্বিত করা হল। যদিও প্রশাসনিক মহলের একাংশের দাবি, এটি একটি রুটিন পদক্ষেপ। কারণ কোনও সরকারি কর্মী গ্রেফতার হয়ে ৪৮ ঘণ্টার বেশি তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে থাকলে, নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে নিলম্বিত করতে হয়।

Advertisement

উল্লেখ্য, আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় প্রমাণ লোপাটের নেপথ্যে টালা থানার প্রাক্তন ওসির যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওই একই অভিযোগে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও গ্রেফতার দেখায় সিবিআই। তাঁকে অবশ্য আগেই হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। মঙ্গলবার অভিজিৎ ও সন্দীপ উভয়কেই ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত।

আদালতে মঙ্গলবার তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, ঘটনার দিন অর্থাৎ ৯ অগস্ট চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে সন্দীপ এবং অভিজিতের মধ্যে মোবাইলে সবচেয়ে বেশি কথাবার্তা হয়েছিল। কল ডিটেলসে তা দেখা গিয়েছে। বেশ কয়েকটি ‘সন্দেহজনক’ মোবাইল নম্বরেও তাঁরা বার বার ফোন করে কথা বলেছেন। সে বিষয়ে আরও জেরা এবং অনুসন্ধান প্রয়োজন বলে দাবি করেছে সিবিআই। টালা থানা থেকে সিসি ক্যামেরার যে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করা হয়েছে, তা পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন বলেও দাবি করেছে সিবিআই।

Advertisement
আরও পড়ুন