Kolkata Metro Services

৪ ঘণ্টা ১৪ মিনিট পর স্বাভাবিক হল পরিষেবা, সকাল থেকে সম্পূর্ণ পথে চলছিল না মেট্রো

জল জমার কারণে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পথে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ ছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৪ ১২:৩৭

— ফাইল চিত্র।

সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হয় কলকাতায়। ঘূর্ণিঝড় রেমালের জেরে রাতভর বৃষ্টিতে সপ্তাহের প্রথম দিনে বিপর্যস্ত কলকাতার মেট্রো পরিষেবা। ৪ ঘণ্টা ১৪ মিনিট পর আবার দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পথে পরিষেবা চালু হল বলেই খবর মেট্রোরেল সূত্রে।

Advertisement

বৃষ্টির জল পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে ঢুকে পড়াতেই বিপত্তি ঘটে। সকালবেলা কয়েকটি মেট্রো চললেও ৭টা ৫১ মিনিটে গিরিশ পার্ক থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ১০টা ২১ থেকে কবি সুভাষ এবং ময়দানের মধ্যে মেট্রো চালানো শুরু হয়। কিন্তু দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পথে পরিষেবা চালু হয় ৪ ঘণ্টা ১৪ মিনিট পর। শুধু স্টেশনে নয়, পার্ক স্ট্রিট এবং এসপ্ল্যানেডের মধ্যেকার ট্র্যাকেও জল থই থই করছিল। যার ফলে মেট্রো পরিষেবায় ব্যাঘাত হয়।

যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে জমা জল বার করার কাজ শুরু করেছিলেন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থলে পৌঁছন উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও। ধীরে ধীরে ট্র্যাক এবং পার্ক স্ট্রিট স্টেশন থেকে পাম্প বসিয়ে জল বার করেন মেট্রোকর্মীরা। শুধু তা-ই নয়, যেখান থেকে জল ঢুকছিল, তা-ও মেরামত করা হয়। তার পরই পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নেন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, বেলা ১২টা ০৫ মিনিট নাগাদ কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হয়। আপ, ডাউন— দু’দিকেই মেট্রো পরিষেবা চালু হয়েছে। তবে পরিষেবা এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।

পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনের সিঁড়ি দিয়ে জল মেট্রো স্টেশনের ভিতরে প্রবেশ করেছিল। এমনকি, দেওয়ালের ফাটল দিয়েও জল চুঁইয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছিল। যাত্রীরা যাতে মেট্রো স্টেশনে প্রবেশ করতে না পারেন, সেই কারণে প্রবেশপথও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে মেট্রোরেল চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই স্টেশনের দরজা খোলা হয় সাধারণের জন্য।

মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছিলেন অফিসযাত্রীরা। সোমবার সকাল থেকেই কলকাতায় বৃষ্টিপাত চলছে। জল জমে রয়েছে শহরের বিভিন্ন জায়গায়। রাস্তাঘাটে বাস, ট্যাক্সির সংখ্যাও খুবই কম। তাই অনেকেই মেট্রোর উপর ভরসা করেছিলেন। কিন্তু ট্রেন না চলায় দুর্ভোগে পড়েন তাঁরা। পরিষেবা চালু হওয়ায় হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন নিত্যযাত্রীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement