NCW in RG Kar

আরজি করে মহিলা কমিশনের সদস্যেরা, লালবাজারে আবার তলব চার জুনিয়র ডাক্তারকেও, কাদের ডাকল পুলিশ?

মঙ্গলবারই আরজি কর হাসপাতালে গিয়েছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের কমিশনার। তিনি আরজি করের নতুন অধ্যক্ষ এবং নতুন সুপারের সঙ্গে কথা বলেন। পরে জানান, তিনি আন্দোলনকারীদের পাশে আছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৪ ১০:৫৮
আরজি করে চলছে প্রতিবাদ। মঙ্গলবার সকালে।

আরজি করে চলছে প্রতিবাদ। মঙ্গলবার সকালে। ছবি: পিটিআই।

আরজি কর হাসপাতালে এ বার হাজির হলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যেরা। মঙ্গলবার সকালেই তাঁরা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের নতুন অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল এবং নতুন সুপার বুলবুল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। একই সঙ্গে জানিয়ে গিয়েছেন, কমিশন আন্দোলনকারীদের পাশে রয়েছে। পাশাপাশিই, মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশও লালবাজারে আবার ডেকে পাঠিয়েছে আরজি করের চার জুনিয়র চিকিৎসক-সহ আরজি করের বেশ কয়েক জন পদাধিকারী এবং কর্মীকে। পুলিশ সূত্রের খবর, কিছু বিষয়ে সন্দেহ নিরসনের জন্যই ডাকা হয়েছে তাঁদের। এর মধ্যে ওই চার জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে বসে শেষ খাবার খেয়েছিলেন নিহত মহিলা চিকিৎসক।

Advertisement

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আরজি করের চার তলার সেমিনার হলে ধর্ষণ করে খুন করা হয় এক জুনিয়র মহিলা চিকিৎসককে। তার কয়েক ঘণ্টা আগে তাঁর চার সহপাঠীর সঙ্গে রাতের খাবার খান নিহত মহিলা চিকিৎসক। মৃত্যুর আগে শেষ বার তাঁরাই দেখেছিলেন ওই চিকিৎসককে। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের কাছ থেকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় কি না তা জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখবে পুলিশ। এ ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে আরজি করের ওই মহিলা চিকিৎসকের বিভাগীয় প্রধান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার, পুরুষ এবং মহিলা নার্স, গ্রুপ-ডি কর্মী এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষীদেরও।

সোমবারই নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিশকে কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুত তদন্ত শেষ করার পাশাপাশি মমতা বলেছিলেন, ‘‘আমি ওই মেয়েটির বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। বাবা-মায়ের অভিযোগ, ওদের ভিতরেই কেউ আছে। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। দরকারে ওঁর বন্ধুবান্ধবকে ডেকে কথা বলুন। যিনি ফোন করে সে দিন খবর দিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গেও কথা বলতে হবে। ওখানে নার্সরা ছিলেন, সিকিউরিটিও ছিলেন। কিন্তু কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা এখনও বুঝতে পারছি না। পুলিশ যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষ করুক। আমি চাই, যে বা যারা জড়িত, তাদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করা হোক।’’ মমতার সেই নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পদক্ষেপ করল পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement