Man Kidnapped in Kolkata

নিউ মার্কেট এলাকা থেকে অপহৃত যুবক মুকুন্দপুরে উদ্ধার! মূল অভিযুক্ত-সহ আট জন পুলিশের জালে

তিলজলা থানায় যুবকের অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর বাবা। জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। শনিবার বিকেল পর্যন্ত ঘরে ফেরেননি। এর মাঝেই মুক্তিপণ চেয়ে এসেছে ফোন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪ ১৬:০৭

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

কলকাতার নিউ মার্কেট থেকে অপহরণ করা হয়েছিল এক যুবককে। বিভিন্ন জায়গা ঘোরানোর পর মুকুন্দপুরের একটি হোটেলে রাখা হয়েছিল। অভিযোগ, বাড়িতে ফোন করে ১২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিলেন অভিযুক্তেরা। যুবককে উদ্ধার করল পুলিশ। এই ঘটনায় আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋণ আদায়ের জন্যই অপহরণের ছক কষেছিলেন অভিযুক্তেরা।

Advertisement

গত শনিবার তিলজলা থানায় ছেলে মহম্মদ ইকবালের অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন বাবা। তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ইকবাল। শনিবার বিকেল পর্যন্ত ঘরে ফেরেননি। এর মাঝেই অভিযোগকারীর কাছে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন এসেছে। ফোনে বলা হয়, ১২ লক্ষ টাকা না দিলে তাঁর ছেলেকে খুন করা হবে।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, নরেন্দ্রপুরে অপহৃত ইকবালের একটি কলসেন্টার ছিল। পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালায়। এর পর তা বন্ধ হয়ে যায়। অভিযুক্ত ডেভিড ওরফে গৈরিক মুখোপাধ্যায়ের থেকে ১৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ইকবাল। কিন্তু কলসেন্টার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তা শোধ দিতে পারেননি। সেই টাকা আদায়ের জন্যই ইকবালকে অপহরণের ছক কষেছিলেন অভিযুক্ত ডেভিড। সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েক জন। ইকবালের বাবাকে ফোন করে মুক্তিপণও চেয়েছিলেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করেছে আট জনকে। অধরা এক জন। তাঁর খোঁজ চলছে। যে গাড়িতে করে ইকবালকে ঘোরানো হয়েছিল, তা-ও খুঁজছে পুলিশ।

তদন্তে পুলিশ আরও জেনেছে, নিউ মার্কেটের কাছ থেকে অপহরণ করা হয় ইকবালকে। তার পর গাড়িতে চাপিয়ে কসবা, নরেন্দ্রপুরে ঘোরানো হয়। আরও কয়েক জন ডেভিডের সঙ্গে যোগ দেন। মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করা হয় ইকবালের বাবাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হাতে না এলে তাঁকে মুকুন্দপুরের একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়। সেখান থেকেই তাঁকে তিলজলা পুলিশ এবং লালবাজারের এআরএস (অ্যান্টি রাউডি স্কোয়াড) যৌথ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে। এখনও তদন্ত চলছে।

আরও পড়ুন
Advertisement