R G Kar Hospital Incident

আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনায় মিনাক্ষীকে তলব কলকাতা পুলিশের, কী বক্তব্য সিপিএম নেতৃত্বের?

আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে তলব করল কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের একটি সূত্র মারফত তেমনই জানা গিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৪ ১৬:৩২
মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।

মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে তলব করল কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের একটি সূত্র মারফত তেমনই জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে মিনাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এই প্রসঙ্গে বলেন, “এখনও নোটিস পাইনি। নিশ্চয়ই নোটিস পাঠাবে। যাঁরা যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের সবাইকেই হয়তো ডাকবে।”

Advertisement

চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচির মধ্যেই মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব চালান একদল ব্যক্তি। তছনছ করা হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার, এইচসিসিইউ (হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), ওষুধের স্টোররুমও। হামলা চালানো হয় হাসপাতালের বাইরের চত্বরেও। ভাঙচুর করা হয় আরজি করের পুলিশ ফাঁড়ি, এমনকি চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনে দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চও! পাশাপাশি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং পুলিশকর্মীদের উপর হামলাও চালানো হয়। কিছু ক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় র‌্যাফ। তারা এসে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ভিড়। হামলাকারীদের একাংশকে তাড়া করে এলাকাছাড়া করে পুলিশ। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়।

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হামলাকারীদের খুঁজতে সমাজমাধ্যমের সাহায্য নেওয়া হয়। আরজি করে হামলার সময়ে বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশের তরফেও জানানো হয়, হাসপাতালে হামলার সময় আরজি করে ধর্নায় বসেছিলেন মিনাক্ষীরা।

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কথা তুলে মিনাক্ষীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পতাকা শুধু আমাদের অফিসে পাওয়া যায় না। বড়বাজারেও কিনতে পাওয়া যায়। যখন আমরা সংগঠনের পতাকা কাঁধে তুলে নিই, তখন তা নিয়ে দায়বদ্ধ থাকি।’’ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময়ে হাসপাতালের বাইরে ওই ধরনের কিছু পতাকা দেখা যায়। কিন্তু ভিতরে বাম পতাকা থাকার প্রমাণ মেলেনি। ভাঙচুরের ঘটনায় কয়েক জনকে বৃহস্পতিবার রাতে লালবাজারে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, আরজি করে হামলার ঘটনায় পুলিশ কাউকে লুকোনোর চেষ্টা করছে না। কেবল প্রমাণ খুঁজছে। প্রমাণ পেলেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। গুজবে কান না-দেওয়ার আবেদন জানান তিনি।

আরও পড়ুন
Advertisement