মা উড়ালপুলে যানজট। —ফাইল চিত্র।
মা উড়ালপুলে ঝগড়া বাধিয়ে যানজট তৈরি করলেই এখন থেকে জরিমানা দিতে হবে। শুধু তা-ই নয়, দীর্ঘ দিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধুঁকতে থাকা গাড়ি যদি উড়ালপুলে বিগড়ে গিয়ে যানজট তৈরি করে, তা হলেও একই ‘শাস্তি’! স্পষ্ট জানিয়ে দিল কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ। শুধু মা উড়ালপুল নয়, এজেসি বোস রোডের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম কার্যকরা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
কর্মব্যস্ত দিনে মা উড়ালপুলে যানজটের কবলে পড়ে প্রায়ই নাকাল হতে হয় শহরবাসীকে। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, গাড়ি খারাপ হয়ে যানজট তৈরি হচ্ছে। আর এক বার যানজট তৈরি হলে অন্তত ঘণ্টাখানেক স্তব্ধ হয়ে থাকে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড, মা উড়ালপুল, পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড় থেকে শুরু করে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস। যার জেরে স্কুলগাড়ি থেকে অ্যাম্বুল্যান্স, পথে আটকে পড়ে সবই। ট্র্যাফিক সূত্রে খবর, অনেক সময় দেখা যায়, উড়ালপুলে সামান্য সংঘর্ষের ঘটনায় চালকের রাস্তার মাঝখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করেন। এর জেরে প্রায়ই যানজট তৈরি হয়। সেই কারণেই ‘শাস্তি’ হিসাবে জরিমানার পথে হাঁটল পুলিশ। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ জানিয়েছে, মোটরযান বিধির ১৯০ (১) আইন অনুযায়ী, এ সব ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকা বা তার বেশি জরিমানা দিতে হতে পারে।
সময় বাঁচাতেই মা উড়ালপুল ব্যবহার করেন গাড়িচালকেরা, বিশেষত অফিসযাত্রী। যানজট না থাকলে বাইপাস থেকে ওই উড়ালপুল দিয়ে ধর্মতলা বা ময়দান পৌঁছতে সময় লাগে বড়জোর ২০ মিনিট। কিন্তু যানজটের কারণে উড়ালপুলে গাড়ি চলাচল থমকে গেলে বেজায় বিপাকে পড়তে হয় যাত্রীদের। তাই উড়ালপুলে যানজট আটকাতে অতীতেও নানাবিধ পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। দিনের ব্যস্ত সময়ে যখন উড়ালপুলের উপর চাপ বাড়ে, তখন মাঝে মাঝে বাইপাসের দিক থেকে মা উড়ালপুল বন্ধ করেও দেওয়া হয়। তা নিয়েও সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। যদিও আধ-এক ঘণ্টার মধ্যে গাড়ির চাপ কমলেই রাস্তা খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু গাড়িচালকেরাও যাতে একটু সতর্ক হয়ে গাড়ি চালান, তা নিশ্চিত করতেই এই নতুন পদক্ষেপ করা হল বলে মনে করছেন ট্র্যাফিক পুলিশ মহলের একাংশ।