RG Kar Hospital Attack

পুলিশ এবং চিকিৎসকদের উপরে হামলা! আরজি করে তাণ্ডবে ৩টি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল পুলিশ

বুধবার রাতে আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে মেয়েদের রাত দখল কর্মসূচিতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। সেই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তিনটি মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৪ ১৫:০৬
আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুর।

আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুর। — নিজস্ব চিত্র।

বুধবার গভীর রাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় তিনটি পৃথক মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ। স্বতঃপ্রণোদিত ওই তিন মামলায় পুলিশের উপর হামলার পাশাপাশি হাসপাতালের চিকিৎসকদের আক্রমণের অভিযোগও রয়েছে। টালা, উল্টোডাঙা, শ্যামপুকুর থানায় মামলাগুলি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হাসপাতালের সম্পত্তি ধ্বংসের মামলাও রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

বুধবার আরজি করের চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মেয়েদের ‘রাত দখল’ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। কলকাতা থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মহিলারা গভীর রাতে পথে নেমেছিলেন। আরজি কর হাসপাতালেও মহিলাদের জমায়েত হয়েছিল। হাসপাতাল চত্বর থেকে মহিলা চিকিৎসকদের একটি মিছিল শ্যামবাজার পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অভিযোগ, সেই মিছিল শুরু হওয়ার আগেই একদল দুষ্কৃতী হাসপাতালে হামলা চালায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালানো হয়। ভেঙে ফেলা হয় পুলিশের ব্যারিকেডও। জমায়েত ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছিল এই অশান্তির পর। পরে গভীর রাতেই ঘটনাস্থলে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

অভিযোগ, জরুরি বিভাগের বিভিন্ন অংশ ভাঙা হয়েছে। দরজা-জানলার কাচ, চেয়ার-টেবিল, ওষুধপত্র, এমনকি সিসি ক্যামেরাও ভাঙা হয়েছে। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে সমাজমাধ্যমে পুলিশের তরফে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করে তাঁদের সন্ধান চাওয়া হয়েছে। ওই হামলাকারীদের সন্ধান কারও জানা থাকলে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এর পর জানা গেল, রাতের ঘটনায় মোট তিনটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ। চিকিৎসকদের উপর আক্রমণ, পুলিশকে আক্রমণ এবং সম্পত্তি ধ্বংস করার অভিযোগে ওই মামলাগুলি রুজু করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। বুধবার রাতের ঘটনায় ইতিমধ্যে ন’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আরজি করের যে জরুরি বিভাগ আন্দোলনের রাতে আক্রান্ত হয়েছে, সেখানেই চার তলার সেমিনার হলে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় চিকিৎসকের দেহ। সেখানেই রাতে হামলার ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement