Dengue and Malaria

ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমাতে কলকাতা শহরের ৯৭২ টি আবাসনকে নোটিশ চিঠি কলকাতা পুরসভা

কলকাতা পুরসভা এলাকায় ২২০০ আবাসন রয়েছে। তার মধ্যে ১৬২২টি আবাসন কমিটির কথা জেনেছে পুরসভা। তাদের মধ্যে বাছাই করে ৯৭২টি আবাসন কর্তৃপক্ষকে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার মশা নিধন করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৪ ২১:৫৬
KMC sent notices to 1100 high-rises in Kolkata city to reduce the incidence of dengue and malaria

ডেঙ্গি ম্যালেরিয়া নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। ছবি: ফেসবুক।

বর্ষার বৃষ্টি বাড়তেই ডেঙ্গি ম্যালেরিয়া রোগের প্রকোপ নিয়ে চিন্তিত কলকাতা পুরসভা। তাই কলকাতার প্রায় এক হাজার বহুতল এবং আবাসনকে চিঠি পাঠাল তারা। শুক্রবার কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। প্রতি বছর বর্ষায় কলকাতা শহরে ডেঙ্গি ম্যালেরিয়ায় প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই এ বার বৃষ্টি বাড়তেই এই পদক্ষেপ করল পুর প্রশাসন। কলকাতা পুরসভা এলাকায় ২২০০ আবাসন রয়েছে। তার মধ্যে ১৬২২টি আবাসন কমিটির কথা জেনেছে পুরসভা। তাদের মধ্যে বাছাই করে ৯৭২টি আবাসন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

চিঠিতে মোটা সাতটি নির্দেশের কথা বলা হয়েছে। যা আবাসনের কমিটিগুলিকে মেনে চলতে বলা হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা আবাসন পরিদর্শনে গেলে বা ভেক্টক কন্ট্রোলাররা কাজে গেলে তাদের সঙ্গে যেন সহযোগিতা করা হয়। ডেপুটি মেয়র জানিয়েছেন, অরবানা, সাউথ সিটি, ডায়মন্ড সিটি মত বহুতল ও আবাসনকে ডেঙ্গি ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে সাহায্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি অবসানের সভাপতি থেকে নিয়ে সম্পাদককে মশার উৎসাহ চিহ্নিত করে তা নষ্ট করতে সহযোগিতা করতে আর্জি জানানো হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, যে আগামী ৮ অগস্ট কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রক, দফতর, অফিস এবং এজেন্সিকে সমন্বয় বৈঠক করবে পুর প্রশাসন। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কলকাতায় থাকা অফিস, আবাসন ইত্যাদি থেকেও ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার মশা নিধন করতে সহযোগিতা চাওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন অতীন।

ডেপুটি মেয়রের দাবি, ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষে প্রায় ২১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে কলকাতা পুরসভা। তবে শুধু জরিমানা, সচেতনতা বৃদ্ধি বা সতর্ক করলেই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। তবে এ বছর এখনও পর্যন্ত এই দুই রোগের প্রকোপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে বলেই দাবি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪০ শতাংশ ম্যালেরিয়া কম এবং ৫৩ শতাংশ ডেঙ্গির প্রকোপ কম। সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছে ৫,৬,৭ এবং ৮ নম্বর বোরোতে। আর ১০,১১ এবং ১২ নম্বর বোরোগুলিতে ডেঙ্গির সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন অতীন।

আরও পড়ুন
Advertisement