Jogesh Chandra Choudhuri Law College

‘যোগ্যতা নেই’, কলেজের অধ্যক্ষাকে সরালেন বিচারপতি! প্রবেশ নিষিদ্ধ, ঘরেও তালা মারার নির্দেশ

নিয়োগ মামলায় জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্য যোগেশচন্দ্রের অধ্যক্ষ থাকার সময় একাধিক বেআইনি নিয়োগ করেছিলেন, এই অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা হয়। তারই প্রেক্ষিতে বিচারপতির মৌখিক নির্দেশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:২৫
Image of Justice Abhijit Ganguly

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। — ফাইল ছবি।

যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েন্‌কাকে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলেজের আরও এক অধ্যাপককেও অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার থেকেই এই দু’জন আর কলেজে ঢুকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কলেজের অধ্যাপক এবং অধ্যক্ষদের যোগ্যতামান স্থির করে দেয়। সেই অনুযায়ী, নিয়ম মেনে নিয়োগ হন অধ্যক্ষ, অধ্যাপকেরা। ইউজিসির ঠিক করে দেওয়া যোগ্যতা না থাকায় এ বার পদ হারালেন কলকাতার এক আইন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এবং এক অধ্যাপক। বৃহস্পতিবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুনন্দা এবং ওই কলেজেরই অধ্যাপক অচিনা কুন্ডুকে পদ থেকে অপসারিত করেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতা তাঁদের নেই। বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, শুক্রবার থেকেই সুনন্দা এবং অচিনা কলেজে ঢুকতে পারবেন না।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ওই দুই ব্যক্তি যদি তাঁদের যোগ্যতা সম্পর্কে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারেন, তা হলে পুনর্বহাল করা হবে। শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। আইনজীবী অর্ককুমার নাগকে স্পেশাল অফিসার হিসাবে নিয়োগ করেছেন বিচারপতি। তাঁকে আদালতের নির্দেশ, বৃহস্পতিবারই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অধ্যক্ষের অফিসে তালা লাগাতে হবে।

যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে মানিক ভট্টাচার্যর নিয়োগ নিয়ে মামলা হয়েছিল হাই কোর্টে। অভিযোগ ছিল, উপযুক্ত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও বেশ কয়েক জন অধ্যাপককে নিয়োগ করেছিলেন মানিক। মামলাকারীর অভিযোগ, ওই অধ্যাপক নিজেদের স্বার্থে কলেজে বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতীকে প্রশয় দিয়েছেন। সেই দুষ্কৃতীরা কলেজকে অসামাজিক কাজের আখড়ায় পরিণত করেছেন। মামলাকারীর দাবি, পুলিশ এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। এই প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মৌখিক নির্দেশ, অভিযোগ খতিয়ে দেখে পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আগামী ৯ অক্টোবরের মধ্যে ওই দুষ্কৃতীদের আদালতে হাজির করাবে পুলিশ। বিষয়টিতে নজর রাখবেন কলকাতার পুলিশ কমিশনারও।

শুক্রবার যোগেশচন্দ্র কলেজের পরিচালন সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিচালন সমিতির নির্বাচনের উপরও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাই কোর্ট।

Advertisement
আরও পড়ুন