শিবিরে নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারবেন বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট এবং মদন দত্ত লেনের বাসিন্দারা। —ফাইল ছবি।
বৌবাজারের ঘরছাড়ারা যাতে অভিযোগ জানাতে পারেন তার জন্য শিবির চালু হল কলকাতায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো রবিবার সকাল থেকে গোয়েঙ্কা কলেজ অব কমার্স অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে চালু হয় সহায়তা শিবির। সেখানে নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারবেন বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট এবং মদন দত্ত লেনের বাসিন্দারা। মেট্রোর কাজের জন্য ওই সব এলাকার বহু বাড়িতে ফাটল ধরেছে। সেই নিয়ে বাসিন্দাদের অভিযোগ শুনবেন স্থানীয় কাউন্সিলর, কলকাতা মেট্রো রেল এবং মুচিপাড়া থানার পুলিশ আধিকারিকরা।
মেট্রোর কাজের জন্য বৌবাজারে ঘরছাড়া হয়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের পাশে থাকতে শনিবারই এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। জানিয়েছিলেন, ৩০ দিনের বেশি যাঁরা ঘরছাড়া, তাঁদের পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ভাড়াটে এবং দোকানের মালিক, কর্মীরাও দেড় থেকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। যাঁদের দোকান ১০০ বর্গফুট জায়গা জুড়ে, তাঁরা পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। দোকান তার থেকে ছোট হলে, দেড় লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন।
তার আগে বৌবাজারের পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে বৈঠকে বসেন মেয়র, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেন মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পরে মু্খ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই বৌবাজারে যান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিদেবী, স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা, মেয়র ফিরহাদ, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। সেখানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা জানান ফিরহাদ। বলেন, ‘‘বৌবাজারের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী উদ্বিগ্ন। তিনি বার বার বাসিন্দাদের খবর নিয়েছেন। মেট্রোর কাজে মাটি আলগা হয়ে যাচ্ছে। তার জন্যই ফাটল দেখা দিচ্ছে বার বার। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, কাউন্সিলর, স্থানীয় ওসি, কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টের লোকজন এলাকায় শিবির করে থাকবেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সুবিধা-অসুবিধা খতিয়ে দেখবেন সকলে।’’
পাশাপাশি মেয়র পুরসভার অবস্থানও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। জানিয়েছেন, এর পর থেকে পুরসভা এবং কলকাতা পুলিশকে না জানিয়ে মেট্রোর এ ধরনের কাজ করা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই রবিবার থেকে বসল শিবির।