পরীক্ষা নিয়ামক সাত্যকি ভট্টাচার্যের বক্তব্য, নির্দিষ্ট দিনের পরেও অনেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করেন। —প্রতীকী চিত্র।
সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক বিষয়ের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র কম পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ক্ষেত্রে প্রশ্নপত্রের ফোটোকপি করে পরীক্ষা দেরিতে শুরু করতেও
হয়েছে। সেই পরীক্ষা স্বাভাবিক ভাবেই শেষও হয়েছে দেরিতে। বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা নিয়ামক সাত্যকি ভট্টাচার্যের বক্তব্য, নির্দিষ্ট দিনের পরেও অনেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করেন। তার আগেই প্রশ্নপত্র ছাপতে চলে যায়। দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটেই চলছে বলে অভিযোগ। বহু ক্ষেত্রেই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ঠিক সময়ে পড়ুয়ারা ফর্ম পূরণ করেন না। শেষ মুহূর্তে তাঁরা পরীক্ষায় বসতে চান। নির্দিষ্ট দিনের পরেও তখন আবার ফর্ম পূরণ শুরু হয়। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কঠোর পদক্ষেপ করেন না বলেও অভিযোগ। পরীক্ষা নিয়ামক বলেন, ‘‘শুধুমাত্র এই সব পরীক্ষা নয়, এমন প্রবণতা চললে ভবিষ্যতে অন্য আরও পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র কম পড়ার ঘটনা ঘটবে।’’
স্নাতকোত্তর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়া দেবার্ঘ্য যশের অবশ্য অভিযোগ, পরীক্ষার ফর্ম ভর্তির পোর্টাল অনেক সময়েই ঠিক মতো কাজ করে না। পুরো বিষয়টাকে আরও উন্নত করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই নেতা শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও মনে করেন, ভর্তির ফর্ম পূরণের পোর্টালটি আরও উন্নত করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘‘এই সবের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরও শক্ত ভাবে
গড়ে তোলা দরকার। উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ফিনান্স অফিসার-সহ বহু পদে স্থায়ী কেউ নেই। এই ভাবে চলতে পারে না।’’