Rabindra Bharati University

জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসের হেরিটেজ ভবন ভাঙায় নিষেধাজ্ঞা, তৃণমূলের দফতর নির্মাণের অভিযোগ

আপাতত ভাঙা যাবে না রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসের হেরিটেজ ভবনের দু’টি ঘর। ওই ঘর ভেঙে ফেলার অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। তাতেই রায় বেঞ্চের।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২২ ১৪:২১
জোড়াসাঁকোর হেরিটেজ ভবনের দু’টি ঘর ভাঙার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি কলকাতা হাই কোর্টের।

জোড়াসাঁকোর হেরিটেজ ভবনের দু’টি ঘর ভাঙার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি কলকাতা হাই কোর্টের। — ফাইল ছবি।

আপাতত স্থগিতই থাকবে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসের হেরিটেজ ভবন ভাঙার কাজ। সোমবার রাজ্যকে এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এই নির্দেশের পরেও যদি এ ধরনের কোনও পদক্ষেপ করা হয়, তা হলে তার জবাবদিহি রাজ্যকেই করতে হবে বলে জানিয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার ওই বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থানে এখনই সমস্ত ধরনের নির্মাণকাজ বন্ধ করতে হবে। এ নিয়ে রাজ্যকে হলফনামার আকারে রিপোর্টও জমা দিতে বলেছে আদালত।

জোড়াসাঁকোয় হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়া ভবনের অব্যবহৃত ঘর ভেঙে নির্মাণকাজ চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন স্বদেশ মজুমদার নামে এক জন। মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তীর অভিযোগ, জোড়াসাঁকো ভবন ‘গ্রেড ওয়ান হেরিটেজ’। সেই ভবনেরই দু’টি ঘর ভেঙে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

শ্রীজীবের আরও দাবি, যে ঘরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম সাক্ষাৎ হয়, সেখানে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের ‘শিক্ষাবন্ধু সমিতি’ নামে একটি সংগঠনের কার্যালয় তৈরি হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের ছবি খুলে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি টাঙানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। এ বিষয়ে যদিও ওই সমিতির কারও কোনও প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২১ নভেম্বর।

Advertisement
আরও পড়ুন