RG Kar Incident

ছাত্রবিক্ষোভে টালমাটাল আরজি কর, ঘটনাস্থলে রাজ্যপাল, ঘুরে দেখলেন ইমার্জেন্সি বিল্ডিং

বুধবার রাত ১২টা নাগাদ আরজি করের সামনে ‘রাত দখলের’ কর্মসূচি শুরু হয়। ঠিক তার পর পরই একদল উন্মত্ত ব্যক্তি আচমকা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালাতে থাকেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৪ ১৩:২৫
পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলছেন সিভি আনন্দ।

পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলছেন সিভি আনন্দ। ছবি: এক্স।

রাজভবনের কর্মসূচি শেষে বৃহস্পতিবার আরজি করে পৌঁছলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রতিবাদী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বললেন তিনি। দিলেন বিচারের আশ্বাস। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথাও বললেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছেই আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস। পড়ুয়ারা রাজ্যপালকে ঘিরে ধরে প্রশ্ন করতে থাকেন, আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কী পদক্ষেপ করতে চলেছেন তিনি? হাসপাতাল চত্বরে ভাঙচুর নিয়েই বা কী বক্তব্য তাঁর? রাজ্যপাল উত্তর দেন, ‘‘আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। আপনারা বিচার পাবেন। আমরা সকলে রয়েছি আপনাদের সঙ্গে। আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’’

এর পর বিগত কয়েক দিনে বার বার হাসপাতালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কিছু পড়ুয়া। এতে আনন্দ বোস বলেন, ‘‘আপাতত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিন। এর পর আপনাদের সঙ্গে কথা বলে, আপনাদের মতামত নিয়েই যাবতীয় পদক্ষেপ করব আমরা।’’ ছাত্রদের সঙ্গে এক দফা কথোপকথন সেরে ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের দিকে যান তিনি।

প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যায় প্রথম আরজি করের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল। বলেছেন, ‘‘আরজি করের ঘটনা ভয়াবহ। এতে আমাদের বিবেকে একটা ঝাঁকুনি লাগা উচিত। যা ঘটেছে, তা গোটা বাংলার কাছে লজ্জার। দেশ তো বটেই, মানবজাতির কাছেও লজ্জার।’’

বুধবার রাত ১২টা নাগাদ আরজি করের সামনে ‘রাত দখলের’ কর্মসূচি শুরু হয়। ঠিক তার পর পরই একদল উন্মত্ত জনতা আচমকা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালাতে থাকে। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে হাসপাতাল চত্বরে তাণ্ডব চালায় লেঠেলবাহিনী। পরে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। কয়েক জন পুলিশকর্মী জখমও হয়েছেন হামলাকারীদের ছোড়া ইটে। কিন্তু যাঁরা হামলা চালালেন, তাঁরা কারা? বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তা স্পষ্ট জানা যায়নি। এর পরেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন আনন্দ বোস।

আরও পড়ুন
Advertisement