R G kar Incident

‘মনে হচ্ছে বিষয়টা অন্য দিকে যাচ্ছে’! মন্তব্য করে আইনজীবী-সহ সিজিওতে টালার প্রাক্তন ওসির স্ত্রী

আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সিবিআই গ্রেফতার করেছে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিতকে। তথ্যপ্রমাণ লোপাট, দেরিতে এফআইআর দায়ের, ঘটনাস্থল বিকৃত করা— এমন নানা অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৪৭
Former OC of Tala PS Abhijit Mondal’s wife on her husband’s arrest by CBI in RG Kar incident

টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের স্ত্রী সঙ্গীতা মণ্ডল। ছবি: সংগৃহীত।

আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার বিকেলে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের উদ্দেশে রওনা হলেন আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের স্ত্রী সঙ্গীতা। তার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন, সিবিআই তদন্ত যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে তাঁর মনে হচ্ছে বিষয়টি ‘অন্য দিকে’ যাচ্ছে।

Advertisement

সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই হেফাজতে থাকা স্বামীর সঙ্গে দেখা করতেই সেখানে যাচ্ছেন সঙ্গীতা। তিনি বলেন, ‘‘ওঁর (অভিজিৎ) শরীরটা এখন ভাল নেই। তাও সিবিআইয়ের সঙ্গে পুরোপুরি সহযোগিতা করেছেন।’’ গ্রেফতারির আগে একাধিক বার সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেও অভিজিৎ সে বিষয়ে পরিবারকে কিছু জানাননি বলে দাবি করেছেন সঙ্গীতা। সেই সঙ্গেই বলেছেন, ‘‘লালবাজার জানিয়েছে, ‘পাশে আছি’।’’

আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় অভিজিৎকে। গত ৮ অগস্ট মূল ঘটনার সময় তিনি টালা থানার ওসি ছিলেন। ওই থানার অধীনেই রয়েছে আরজি কর হাসপাতাল। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। রয়েছে কর্তব্যে গাফিলতি, টালবাহানা এমনকি, তদন্তের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও। সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, আরজি কর-কাণ্ডে অভিজিতের ভূমিকা সন্দেহজনক। নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।

সোমবার দুপুরে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের সার্ভে পার্কের বাড়িতে উপস্থিত হন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। ছিলেন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (চতুর্থ) ভি সলোমন নিশা কুমার, ডেপুটি কমিশনার (এসএসডি) যাদবপুর বিদিশা কলিতা এবং ডেপুটি কমিশনার (ইস্ট ডিভিশন) আরিশ বিলাল। প্রসঙ্গত, রবিবার যখন অভিজিৎকে আদালতে তোলা হয়, তখন সাত জন সাব-ইন্সপেক্টর পদের অফিসার আদালতে উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু ছিলেন না কোনও উচ্চপদস্থ কর্মী। ক্ষুব্ধ পুলিশকর্মীদের একাংশ রবিবারই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বলে খবর। তার পরেই এই পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন
Advertisement