এ বার দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিংয়ে অপেক্ষমান চাকরিপ্রার্থীদের কাউন্সেলিং হওয়ার কথা। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শেষ হল উচ্চ প্রাথমিকের প্রথম পর্যায়ের কাউন্সেলিং। বুধবার এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে, মেধা তালিকায় থাকা ৮৭৪৯ জনের কাউন্সেলিং সম্পন্ন হয়েছে। সুপারিশপত্র নিয়েছেন ৬৬৮০ জন। কাউন্সেলিংয়ে অনুপস্থিত এবং সেখানে উপস্থিত থেকেও সুপারিশপত্র নিতে অস্বীকার করেছেন, এমন প্রার্থীর সংখ্যা ২০৬৯। অর্থাৎ, অনুপস্থিতির হার প্রায় ২৪ শতাংশ। গত বছরও নভেম্বর মাসে উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং হয়েছিল। যদিও সুপারিশপত্র দেওয়া হয়নি। গত বছর অনুপস্থিত ছিলেন মোট ১০২৫ জন। অর্থাৎ, চলতি বছরে অনুপস্থিতির হার প্রায় দ্বিগুণ। এ বার দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিংয়ে অপেক্ষমান চাকরিপ্রার্থীদের কাউন্সেলিং হওয়ার কথা। ‘পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চ’-এর সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা ডিসেম্বরেই দ্বিতীয় কাউন্সেলিং শুরু করার দাবি জানাচ্ছি।’’
উচ্চ প্রাথমিকে যাঁরা সুপারিশপত্র পেয়েছেন, তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া এই মুহূর্তে চলছে। কিছু স্কুল বহু দিন পরে শিক্ষক পেয়ে খুশি। যেমন, নারায়ণদাস বাঙুর মাল্টিপারপাজ় স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে বেশ কয়েক বছর উচ্চ প্রাথমিকে বাংলার শিক্ষক পদ খালি ছিল। দীর্ঘ এত বছর পরে এক শিক্ষিকা যোগ দেওয়ায় আমরা খুব খুশি।’’
তবে প্রার্থীদের একাংশের অভিযোগ, বেশ কিছু ক্ষেত্রে তাঁরা স্কুলে যোগ দিতে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীনও হচ্ছেন। কোথাও
সুপারিশপত্রে প্রার্থীর বা স্কুলের নামের বানান ভুল, কোথাও পদ ফাঁকা নেই। কিন্তু সেই স্কুলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী সুপারিশপত্র নিয়ে চলে গিয়েছেন। এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘‘ভুলের সংখ্যা নগণ্য। যে সব ভুল সংশোধনযোগ্য, সেগুলি দ্রুত সংশোধন করা হচ্ছে।’’