কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় এখনও লাগানো রয়েছে পুজোর বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং। —নিজস্ব চিত্র।
স্পষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া সত্ত্বেও শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও লাগানো পুজোর বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং। এ বিষয়ে তাই কড়া অবস্থান নিল কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুরসভার নির্দেশ অমান্য করায় ৭৫টি বিজ্ঞাপন এজেন্সিকে বিজ্ঞাপনমূল্যের তিন গুণ আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে জরিমানার চিঠিও। একই অভিযোগে অভিযুক্ত আরও ৩০টি সংস্থাকেও চিঠি পাঠানো হতে পারে বলে খবর। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১৫০০টি বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং, ব্যানার খুলে ফেলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিজ্ঞাপন খুলে ফেলতে টানা অভিযান চালাবে পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগ। পুজোর আগেই এজেন্সিগুলিকে নোটিস পাঠিয়ে বলে দেওয়া হয়েছিল, দুর্গাপুজো শেষ হওয়ার দিন দশেকের মধ্যেই সব বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং-ব্যানার খুলে ফেলতে হবে। অভিযোগ, বিজ্ঞাপন এজেন্সিগুলির একাংশ এ বিষয়ে উদাসীন। শারদোৎসবের পর লক্ষ্মীপুজো, এমনকি কালীপুজো, ভাইফোঁটাও চলে গিয়েছে। তবুও পুজোর বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং না খোলায় বেজায় ক্ষুব্ধ কলকাতা পুরসভা। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘এ ব্যাপারে কলকাতা পুরসভা আবেদন-নিবেদনের পথে হাঁটতে রাজি নয়। তাই সরাসরি জরিমানার চিঠি ধরানো হচ্ছে।’’
কলকাতার বহু জায়গায় রাস্তার ধারে বাঁশের কাঠামোয় লাগানো বিজ্ঞাপন খুলে ফেলেছেন পুরসভার কর্মীরা। কলকাতা পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগ থেকে জানা গিয়েছে, সব সংস্থাকেই প্রমাণ-সহ জরিমানার চিঠি পাঠানো হচ্ছে। মোটামুটি বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলিকে ১০-১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হচ্ছে বলেই পুরসভা সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, ১৯-২৯ অক্টোবর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১৫০০টি হোর্ডিং-ব্যানার খোলা হয়েছে। খুলে ফেলা হয়েছে বিজ্ঞাপন লাগানোর জন্য তৈরি বাঁশের কাঠামো-সহ গেটও।